সিলেট-৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন শমসের মবিন

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী ইমদাদুল হকের কাছে এ মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

এদিকে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারা মনোনীত মোট ৫১ প্রার্থী দেশের বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এর মধ্যে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান লক্ষ্মীপুর-৪, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র মাহী বি. চৌধুরী মুন্সীগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৭, যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ক ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন মানিকগঞ্জ-২, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা সাতক্ষীরা-৪ ও ঢাকা-১৫, এমএম শাহীন মৌলভীবাজার-২, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী সুনামগঞ্জ-১ আব্দুর রউফ মান্নান নওগাঁ-২ এবং মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী চট্টগ্রাম-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

গত ২৬ অক্টোবর বিকল্প যুবধারার বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে বিকল্পধারায় যোগদান করেন শমসের মবিন। তিন বছর আগে ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় শসমের মবিন চৌধুরী বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান।

বিএনপি ছাড়ার সময় তিনি আর রাজনীতি না করার কথাও বলেন। যোগদান অনুষ্ঠানে শমসের মবিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি যারা করেন তাদের সঙ্গে রাজনীতি করা যায়।’ বি. চৌধুরীর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি।

২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে লেখা এক চিঠির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান শমসের মবিন। চিঠিটি তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেন।

এর পরদিন অবসরে যাওয়ার বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমকে জানান। ওই চিঠিতে শমসের মবিন লেখেন, ‘আমি যুদ্ধাহত একজন মুক্তিযোদ্ধা। শারীরিকভাবে এখন আর রাজনীতি করার মতো অবস্থায় নেই। এ কারণে বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকেই তা কার্যকর হবে।’

বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শমসের মবিন চৌধুরীকে পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০৫ সালে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করে পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে দুই বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৭ সালে অবসরে যান তিনি। ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং ২০০৯ সালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় লেফটেন্যান্ট ছিলেন শমসের মবিন। যুদ্ধে ভূমিকা রাখায় তাকে বীর বিক্রম উপাধি দেয়া হয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *