ঝিনাইদহে কৃষকের মুখে নেই হাসি, আগ্রহ হারাচ্ছে ধান চাষে!

নিউজ ডেস্ক:: ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার হাটবাজার গুলোতে দেখা মিলছে ধান বিক্রি করে কৃষকরা তাদের উৎপাদন খরচ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। আবার বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বর্গা চাষিরা। তারা জমির মালিককে জমি বর্গার টাকা ও ধান পরিশোধ করে উৎপাদন খরচই তুলতে পারছে না। বাধ্য হয়ে অনেক বর্গা চাষি জমির মালিককে জমি ফেরত দিচ্ছেন। আগ্রহ হারাচ্ছে ধান চাষ করতে। ধান চাষ বাদ দিয়ে তারা চায়ের দোকান, ইজি বাইক চালাচ্ছে।

ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ বলছে, এ জেলায় ২০১৮’সালে আবাদ করা হয় ৯৪’হাজার ৮’শ ৯২হেক্টর জমিতে। বর্তমানে ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। তাতে করে কৃষকরা নাকি ধান বিক্রিতে ভাল দাম পাচ্ছে না।

কালীগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের মহিদুল ইসলাম কলেন, কয়েক বছর ৫০’শতক জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে আসছি। যে পরিমাান ধান উৎপাদন হয়, জমির মালিকের টাকা পরিশোধ করার পর যা থাকে তা খাওয়া চলে। কয়েক মৌসুমে ধান চাষ করে মালিককে লিজের টাকা দেয়ার পর উৎপাদন খরচই ওঠেনি। বাধ্য হয়ে লিজের জমি ফেরত দিয়ে অন্য কাজ করতে বাধ্য হয়েছি।

নওদা গ্রামের রফি উদ্দিন জানান, আমরা ধান চাষ করছি। লাভবান হচ্ছে রাইছ মিল মালিকেরা। তারা ধান কিনে ধানের গুড়া বিক্রি করছে। তাছাড়া ধানের দাম কম হলেও চালের দামতো আর কম নেই। বর্তমানে বাজারে ধান বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা প্রতি মন। বর্তমানে বর্গা চাষিরা ধানের আবাদ করে উৎপাদন খরচ তুলতে না পারার কারণে তারা আর ধান চাষ করবে না। যেহেতু খরচের তুলনায় উৎপাদন হচ্ছে কম। জমির মালিক কে চুক্তির টাকা বা ধান দিয়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে খরছের টাকা ও থাকছে না তাদের। যে কারণে ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। সাধারন কৃষকরা ও ধান বিক্রি করে তাদের উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা বলছে এ লোকসান দিয়ে ধানচাষ করা সম্ভব না। ফলে তারা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *