আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: লেখক ও সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) মূল্যায়নের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সিআইএ তাদের মূল্যায়নে বলেছিল, ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক খাসোগি হত্যার নির্দেশদাতা হলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। কিন্তু ট্রাম্প সিআইএর এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করে বলেন, খাসোগি হত্যায় যুবরাজ সালমান জড়িতের ব্যাপারে সংস্থাটির ‘ধারণা’ ছিল। কিন্তু হত্যার জন্য নির্দিষ্ট করে কাউকে দায়ী করা হয়নি।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছিলেন, খাসোগি হত্যার মতো একটি অভিযান চালানোর জন্য যুবরাজের সম্মতির প্রয়োজনীয়তা ছিল।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সৌদির পক্ষাবলম্বন করে বলেন, যুবরাজ ও বাদশাহ সালমান বলেছেন, এই ‘হত্যাকাণ্ডে’ তারা জড়িত নন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি অপরাধ ঘৃণা করি। আমি অপরাধ ধামাচাপা দেওয়াকেও ঘৃণা করি। আমি বলছি, অপরাধকে আমার চেয়েও বেশি ঘৃণা করেন যুবরাজ এবং তারা জোর দিয়ে খাসোগি হত্যায় তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন।’
খাসোগিকে কে হত্যা করেছে জিজ্ঞাসা করলে ট্রাম্প আবারও কাউকে দায়ী করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সম্ভবত বিশ্বই নির্ধারণ করবে কে এই হত্যায় দায়ী। কারণ এই পৃথিবী খুবই অসৎ জায়গা। এই বিশ্ব খুবই অসৎ স্থান।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসোগলু বলেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য প্রমাণ করে তিনি বিষয়টিকে অবহেলার চোখে দেখছেন।
তিনি সিএনএন তুরস্ককে বলেন, খাসোগিকে ‘যত দ্রুত সম্ভব নীরব’ করে দিতে যুবরাজ সালমানের নির্দেশের অডিওর বিষয়ে তুরস্ককে কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
গত ২ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র নিতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকেই নিখোঁজ হন খাসোগি। পরে বিভিন্ন মহলের চাপে খাসোগির খুনের বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি আরব।