জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী দৌলতা ব্রীজ মরণ ফাঁদ

নিজস্ব প্রতিনিধি :: জামালগঞ্জের উপজেলা ভীমখালী ও ফেনারবাঁক ইউনিয়ন যার অধিকাংশ জনগোষ্ঠির হেমন্ত মৌসুমে ফেনারবাঁক ও ভীমখালী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী দৌলতা ব্রীজ একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম।

২০০১ সালে নির্মিত এই সরু ব্রীজটি ২০০৬ সাল থেকে ব্যবহার হয়। এ ব্রীজ দিয়ে সহ লক্ষদিক জনগন এই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করেন। বর্তমানে ব্রীজটির দক্ষিন প্রান্তে খসে পড়ে গেছে রড, সিমেন্ট, সুরকি। সৃষ্টি হয়েছে বিপদজনক খানা-খন্দ। বিগত ৫ বছর পূর্বে এই ব্রীজটি উপজেলা প্রকৌশলী কতৃক পরিতক্ত্য ও ঝুকিপূর্ন বলে সাইনবোর্ড ঝুলানো ছিল ।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা বলেন, ব্রীজটির উভয় প্রান্তের এপ্রোচ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রতি নিয়তই সিএনজি, লেগুনার ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে উল্টে পড়ে, ২ শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া এ ব্রীজটিতে দুঘর্টনায় অনেকে নিহতও হয়েছেন। চলতি বছরে কোনো রকম মেরামত বা সংস্কার ছাড়াই চলছে মোটর বাইক,সি এন জি,লেগুনা ও প্রাইভেট কার। এই পরিত্যক্ত ব্রীজের পাশে নেই কোনো বিপদ সংকেত,এভাবে চলতে থাকলে,বড় রকমের দুর্ঘটনার আশংকা আছে।

এ ব্যাপারে ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার বলেন, ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ, এই জন্য একটি বিপদ সংকেত ঝুলানো প্রয়োজন । কিন্তু কেউ আর সক্রিয়ভাবে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন না, এমনকি কোন পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ গ্রহন করেন না।

ভীমখালী ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ব্রীজটি র্দীঘ দিন যাবত পরিত্যক্ত। যাতায়াতের জন্য অনুপযুক্ত,বিপদ সংকেত দেওয়া প্রয়োজন । অন্যথায় দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন,এই ব্রীজটি ৫ বছর ধরে মেরামতের জন্য প্রস্তাবিত ভাবে আছে। আমরা উপরে প্রস্তাব পাঠানোর পর বিভিন্ন টিম জরিপ করে যান। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে আসে নাই । ব্রীজটি খানা খন্দ মেরামত ও বিপদ সংকেত দেওয়ার জন্য আমার দপ্তর থেকে কাজটি করার কথা, কেন করেনি তা দেখা হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *