নিজস্ব প্রতিনিধি :: সিলেট ওসমানীনগরে মাঠি খুঁড়ে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে এ ঘটনায় পুলিশ পতিতা ব্যাবসায়ী আব্দুল বারীসহ চার জনকে আটকা করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা হলেন, উপজেলার দয়ামীর ইউপির দয়ামীর গ্রামের আব্দুল গনি (৪০) একই ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের মৃত হুরমত উল্যার ছেলে আব্দুল বারী (৪০),তার কথিত স্ত্রী পাখি বেগম (২০), মেয়ে মোনালিসা (১৩) ও তাজপুর ইউপির মজলিসপুর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে সেলিম মিয়া (৩৫)।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে দয়ামীর বাজারের কনাইশাহ (র.) মাজারের পশ্চিমের খালি জায়গা থেকে মাটিচাপা দেওয়া নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।
সূত্র জানায়, নিহত নারী ও কথিত স্ত্রী-মেয়ে এবং বিভিন্ন নারীকে দিয়ে নিজের বাড়িতেই দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন আব্দুল বারী। তবে ওই নারীকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে ও নিহতের পরিচয় এখনও জানাননি পুলিশের হাতে আটককৃত বারী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে আব্দুল বারী ও অন্য আরেকজন থানায় ফোন করে জানান দয়ামীরে অজ্ঞাত এক নারীকে খুন করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পুরো সংবাদ জানতে কৌশলে আব্দুল বারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই নারীকে তার বাড়িতে রবিবার রাতে খুন করে দয়ামীর বাজারের পশ্চিমে মাটিচাপা দিয়ে মরদেহ গুমের কথা স্বীকার করেন। খুন করতে তাকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান বারী।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আল মামুন বলেন, নিহত নারীর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এঘটনায় চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াদিন।