মাইলফলকের ম্যাচে টাইগারদের প্রত্যাশিত জয়

খেলাধুলা ডেস্ক:: পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৮৬ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকেঅভিষেক হয়বাংলাদেশ দলের। ৩২ বছর পর রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে৩৫০তম ম্যাচ খেলেটাইগাররা।মাইলফলকের এই ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

এদিন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। প্রথমে ব্যাট করে ইমরুল কায়েসের (১৪৪) সেঞ্চুরি এবং তরুণ ব্যাটসম্যান সাইফউদ্দিনের (৫০) ফিফটিতে ভর করে ৮ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত শেন উইলিয়ামসের ৫০ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২৪৩ রান সংগ্রহ করে। ২৮ রানের জয় পায় বাংলাদেশ দল।দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মিরাজ। ২ উইকেট শিকার করেন নাজমুল ইসলাম অপু।

বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নিজিম্বাবুয়ে

মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের কাছে পাত্তাই পায় নি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। বোলিং এবংফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থহ্যামিল্টনমাসাকাদজার বাহিনী।

১০০ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর,ষষ্ঠউইকেট জুটিতে পিটার মুরকে সঙ্গে নিয়ে৪৫ রান যোগ করেন শেনউইলিয়ামস। বিপদজনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৪৫ বলে ২৬ রান করেন পিটার মুর।

এরপর ৩ রানের ব্যবধানে নতুন ব্যাটসম্যান ত্রিপানোকে রান আউট করেন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া ফজলে মাহমুদ রাব্বি। মিরাজের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ব্রেন্ডনমাভুতা।

আরভিনকে ফেরালেন মিরাজ

একমাত্র হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ছাড়া জিম্বাবুয়ের বাকি চার ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়ে সাজঘরে। সবশেষ ক্রেইগ আরভিনকে মাঠ ছাড়া করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১০০ রানে প্রথম সারির ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপের মধ্যে পড়ে যায়জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।

আবারও সেই অপুর আঘাত

৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ১৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর খেলায় ফেরার আগেই ফের জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন নাজমুল ইসলাম অপু। তার দ্বিতীয় শিকারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে সেকান্দার রাজা।

মোস্তাফিজের পর অপুর আঘাত

পেস আক্রমণের পর স্পিন। মোস্তাফিজুর রহমানের পর নাজমুল ইসলাম অপু। এই দুই বোলারের জোড়া আঘাতে কুপোকাত জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান করা জিম্বাবুয়ে এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট।

জুয়াও ২৪ বলে ৩৫ রান করে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড, অপুর বলে একইভাবে আউট হয়ে ফেরেন ১৩ বলে ৫ রান করা ব্রান্ডন টেইলর। অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে রান আউট করে ফেরান ইমরুল-মুশফিক। তার আগে ৩৪ বলে ২১ রান করেন মাসাকাদজা।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ

সাম্প্রতিক সময়ে পরাজয়ের বৃত্তে আটকে আছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। সেই বৃত্ত থেকে বের হতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দলের করা ২৭১ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলে জিম্বাবুয়ে।

একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের ওপেনার সিফাস জুওয়াওয়ের লাগাম টেনে ধরেন মোস্তাফিজুর রহমান। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসেই জুওয়াওকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। ৭.১ ওভারে ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

ইমরুল-সাইফউদ্দিনের ব্যাটে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সূচনালগ্ন থেকেই যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা। সেখানে নিজের স্বভাবজাত খেলাটা খেলে যান ইমরুল কায়েস। একপর্যায়ে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। তবুও অবিচল থাকেন বাঁহাতি এওপেনার। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েই লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ভীষণ চাপের মধ্যেইমরুলকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

শেষ পর্যন্ত লড়াকু সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাইফউদ্দিন। দুজনের ব্যাটে জিম্বাবুয়েকে ২৭২ রানের টার্গেট দেয়বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ের হয়ে জার্ভিস নেন ৪ উইকেট। চাতারা নেন ৩ উইকেট।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *