স্পোর্টস ডেস্ক::
সুই নর্দান গ্যাস পাইপ লিমিটেড দলটিতে রয়েছেন তৌফিক উমর, মিসবাহ-উল হক, আদনান আকমল এবং বিলাওয়াল ভাট্টির মত ক্রিকেটাররা। এই অবস্থাটা হয়েছে মূলত পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির উইকেটগুলোর দৈন্যতার কারণে। দেশটির উইকেটগুলো নিয়ে আবারও ভাবতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। উইকেট উন্নত না করা পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঙ্খিত মানের পথেও পা রাখতে সক্ষম হবে না।
পুরো দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একমাত্র বিলাওয়াল ভাট্টিই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছেন। তিনি করেছেন সর্বোচ্চ ১৫ রান। বাকি ব্যাটসম্যান সবাই মিলে করেছেন ২০ রান। এর মধ্যে আলি ওয়াকাস সবচেয়ে বেশি বল মোকাবেলা করেছেন, মাত্র ৩৫টি। তিনি করেছেন ৯ রান। অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই ৪ -এর বেশি রান করতে পারেননি। ৫জনই মেরেছেন গোল্ডেন ডাক।
হাবিব ব্যাংকের বোলার জুনায়েদ খান একাই ১৭ রান দিয়ে নেন ৭ উইকেট। খুররাম শেহজাদ নেন ২টি এবং ১ উইকেট নেন উমর গুল।
এই হলো এমন একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের প্রথম শ্রেণির একটি ম্যাচের স্কোরকার্ড, যারা দুই বছর আগে উঠেছিল টেস্ট র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে। একই দিন অবশ্য ইসলামাবাদে ওয়াপদা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ সাদের (যিনি গত মৌসুমে কায়েদ-ই আজম ট্রফিতে ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক) মাথায় বল দিয়ে আঘাত করেন সুই সাউদার্ন গ্যাস করপোরেশনের বোলার মোহাম্মদ আমির। মাথায় হেলমেট থাকার কারণে কোনোমতে বেঁচে যান সাদ। তবে, এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ওয়াপদা অধিনায়ক সালমান বাট আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করার কারণে, ম্যাচ ওখানেই স্থগিত ঘোষণা করা হয়।