সৌদি পাঠানোর ট্রেনিংয়ের কথা বলে যুবতীকে ধর্ষণ

আজিজুল ইসলাম সজীব:: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের লালচাঁন চা বাগানে বিদেশে যাওয়ার আগে ট্রেনিংয় করতে হবে বলে লাগাতার ৩ দিন যুবতীকে ধর্ষণ করেছে এক নারীপাচারকারী চক্রের দালালরা। বিদেশে পাঠানোর জন্য কথা বলে লালচাঁন্দ চা বাগানে নিয়ে যুবতী বানিয়াচং উপজেলার সিদ্দিক মিয়ার কন্যা।

জানা যায়, বানিয়াচংয়ের এক যুবতীকে বিদেশে চাকুরীর প্রলোভন দেয়। বিদেশ প্রেরণ পুর্ব ঢাকায় ৩ দিনের ট্রেনিং এর প্রলোভন দিয়ে কৌশলে চুনারুঘাট লালচাঁন্দ চা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট দালাল। বিষয়টি এলাকার লোকজনের নজরে আসলে তাদেরকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে দেন স্থানীয় জনতা।

এ ঘটনায় ছিদ্দিক মিয়ার কন্যা গত রবিবার রাতে চুনারুঘাট থানায় ধর্ষনের অভিযোগ তুলে একই উপজেলার প্রতাবপুর গ্রামের মৃত তুতা মিয়ার পুত্র ইদু মিয়া (৪৫)কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

চুনারুঘাট পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য গতকাল সোমবার দুপুরে ভিকটিমকে পুলিশ হেফাজতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ধর্ষিতার পিতা ছিদ্দিক মিয়া জানান, গত ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মেয়েকে ট্রেনিং নিবে বলে আমার বাড়িতে বলে যায়। কিন্তু দালাল ট্রেনিংয়ে না গিয়ে আমার মেয়েকে ৩ দিন ধরে চুনারুঘাট লালচাঁন্দ চা বাগানের একটি ঘরে নিয়ে আটক রেখে জোড় পুর্বক ধর্ষণ করেছে।

এ দিকে ভিকটিমের ভাই জাহিদ হোসেন জানান, লেদু মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন যুবতী মেয়েদেরকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দিয়ে বিদেশে পাচার করে আসছে। দালাল লেদু মিয়ার খপ্পরে পড়ে অনেক যুবতী মহিলা বিদেশে গিয়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসছেন।

আবার কেউ কেউ সেই দেশের কারাগারে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দালালদের ইচ্ছা মত মুক্তিপণ দিলে নির্যাতিত যুবতীদেরকে ফিরিয়ে দেয় তারা। এমনি ভাবে ওই চক্রের সদস্যদের নজরে পড়ে তার বোন দিকে ।
একদিন লেদু মিয়া তাকে প্রস্তাব দেয় তোমাদের পরিবারের অবস্থা ত ভাল নাহ্। তোমার বোন বিদেশে পাঠালে অনেক টাকা উপার্জন করবে। এ লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে লেদুর প্রস্তাবে রাজি হয় তার পরিবার।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর রাত ৮ টায় লেদু একটি গাড়ি দিয়ে বিদেশের জন্য ট্রেনিংয়ের কথা বলে ভিকটিমের বাড়ি হতে নিয়ে যায় চুনারুঘাট ৫নং শানখলা ইউনিয়নের লালচান্দ চা বাগানে আরেক নারীপাচারকারী নুর মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়, সেখানে লেদু মিয়া স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অবস্থান নেয় দুই জন, তখন লেদু ভিকটিমকে জানায় সেখানে দুইদিন থাকতে হবে কারণ লেদুর বস এসে তাকে নিয়ে যাবে এমন প্রলোভনে দুই দিন অতিবাহিত হয়।

দুই দিন পরে এলাকাবাসীর কাছে ধরা পরে লেদু। তখন বিষয়টি আশপাশের লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাদেরকে থানায় প্রেরণ করা হয়।

গতকাল সোমবার দুপুরে আটক লেদুকে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, ভিকটিম বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে, ভিকটিমের ডাক্তারীর জন্য মেডিকেল প্ররেণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *