দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন ত্রানমন্ত্রী মায়া

নিউজ ডেস্ক::
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের ওপর পুনঃশুনানির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের সাজার রায় বাতিল করে তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মায়ার আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার (৮ অক্টোবর) এ রায় দেন।

আদালতে মায়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার দুর্নীতির মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের ওপর পুন:শুনানি শেষ হয়। একই দিনে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ড. বশির আহমেদ ও সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

২০০৭ সালের ১৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে জরিমানাও করেন।

আপিলের পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এ নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের পর ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করেন সে সময়কার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশও দেওয়া হয়। পরে রিভিউও খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

এরপর আপিল বিভাগে আদেশ অনুসারে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *