খেলাধুলা ডেস্ক::ইংল্যান্ডের নর্থ ওয়েলস ক্রিকেট লিগে মুখোমুখি হয়েছিল সেন্ট অ্যাসফ ও নর্থপ। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে নর্থপ বোলার জেমস ব্রিচের বলে জর্ডান ইভান্সের হাতে ধরা পড়েন সেন্ট অ্যাসফের ওপেনার ম্যাট রায়ান। সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ার আঙুল তুলে জানিয়ে দেন আউট হয়েছেন রায়ান।
আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরও মাঠ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান ওপেনার রায়ান। অ্যাসফের এই ওপেনারের দাবি, বল তার ব্যাটেই লাগেনি। এ নিয়ে এক ফিল্ডারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় রায়ানের। এক পর্যায়ে বাকযুদ্ধ থেকে হাতাহাতির উপক্রম হয়।
এ সময় ওই ফিল্ডারের সঙ্গে মারপিট শুরু হয় রায়ানের। মারামারির সময় রায়ান মাটিতে পড়ে যান। মাথায় আঘাত পান তিনি। বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে গেলেও তাদের মারামারি থামছে না দেখে দুই দলের খেলোয়াড়রা এগিয়ে আসেন এবং ওই দুই ক্রিকেটারকে থামান।
মাঠেই দুই ক্রিকেটারের মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়ে যান গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা। এর আগে আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কবারই বাকযুদ্ধের নজির রয়েছে। কিন্তু মাঠেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা নিতান্তই বিরল।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় ওই দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে। ঘটনার পর নর্থপ দলের ম্যানেজার ডেল হার্ল এবং সেন্ট অ্যাসফের অধিনায়ক উইলিয়াম রায়ান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিষয়টি ইতমধ্যে কানে গিয়েছে লিগ কর্তৃপক্ষের। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্যানেল আম্পায়ারদের কাছ থেকে তদন্ত কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা রিপোর্ট পেয়েছেন। ম্যাচ রেফারি ও মাঠে উপস্থিত খেলোয়াড়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত শেষে গুরুতর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে লিগ কর্তৃপক্ষ।