সিলেটে আদালতপাড়ায় পুর্ববর্তী মামলার জের ধরে বাদীর উপর আসামীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় আদালত পাড়ায় মামলার বাদী ওসমানীনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের মৃত পছন্দ উল্লাহ’র পুত্র আব্দুন নুর ওরফে নুর মিয়ার উপর হামলা করে আসামীরা। হামলায় নুর মিয়া গুরুতর আহত হলে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, মাননীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত সিলেটে ফৌজদারী নালিশ নং ১১৩/২০১৮ নং মামলায় প্রধান আসামী ওসমানীনগর থানার নুরপুর গ্রামের মৃত রমিজ উল্লাহ’র পুত্র হারুন মিয়াকে গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার পুলিশ গ্রেফতার করে। পরদিন রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সিলেট ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পেয়েই হারুন মিয়া মামলার অপর আসামী সিরাজ মিয়া ও আশ্বদ আলী তাদের সহযোগীদের নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে মামলার বাদী নুর মিয়ার উপর হামলা করে। দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে নুর মিয়ার মাথা সহ সারা শরীরে আঘাত করে। হামলায় নুর মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিওমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ওসমানীনগর জি/আর ৭৮/২০১৮নং মামলার স্বাক্ষী দিলেন আহত নুর মিয়া। আর এ মামলার আসামীরা ছিলেন নুর মিয়ার উপর হামলাকারীরা। নুর মিয়া উপরোক্ত মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় আসামীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় হামলাকারী আসামীরা। তারা নুর মিয়ার উপর হামলা ও প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখায়। সর্বশেষ গত ৬ জুন রাত ১০টার দিকে স্থানীয় মোবারক জামে মসজিদে তারাবীর নামাজের পর নুর মিয়া বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে হারুন মিয়া, সিরাজ মিয়া ও আশ্বদ আলী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার উপর হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। নুর মিয়ার সুর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মাননীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত সিলেটে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন নুর মিয়া। এ মামলায় প্রধান আসামী নুর মিয়াকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়। পরদিন রোববার হারুন মিয়া আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। আর জামিন পেয়েই মামলার বাদী নুর মিয়ার উপর হামলা করে হারুন মিয়া সহ অপর আসামীরা।
জানা যায়, হারুন ও তার সহযোগীরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আছেন। হয়রানী, ভূমি খেকো, মিথ্যা মামলাবাজ সহ সর্বপ্রকার অপরাধের মূল হুতা হলেন হারুন ও তার সহযোগীরা। এলাকায় হারুনের নেতৃত্বে একের পর এক অপকর্ম ঘটতেই থাকে। তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই কারও। যেই কথা বলে তাকেই হামলা, মামলা ও বিভিন্ন মিথ্যা ঘটনা হয়রানী করেন।