ধর্মপাশায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো এক কিশোরী

নিজস্ব প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল এক কিশোরী।

শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়নের গোলগাও গ্রামের মৃত জহুর আলী খোকা এর মেয়ে কিশোরী সেলিনা আক্তার (১৭) কে পাশ্ববর্তী উপজেলা তাহিরপুর বাগলী গ্রামের যুবক আলমগীর (২৬) এর নিকট বিবাহ বন্ধনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

বিশেষ সুত্রে সাংবাদিকরা খবর পেয়ে, ঘঠনাস্থলে কিশোরী অভিভাবক বড় ভাই মোস্তফা ও বকুলকে বাল্যবিবাহ কুফল ও সরকারের বিধি মান্য করে কিশোরীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়। বর পক্ষের লোকজনদের স্বাগত জানিয়ে কনের বাড়ির উঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়েছে। কিশোরীর ভাইদের বুঝানোর পর নিজ বোনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও থাকে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন। এ সময় কিশোরীর বাড়িতে থেকে বর যাত্রী লোকজন চলে যায়।

বংশিকুন্ডা উওর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কুরবান আলী সাদু বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ১৭ বছরের কিশোরী বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে কিশোরীর বড় ভাই মোস্তফা, বকুল ও রুবেল, জালাল, তোতামিয়া সহ পাশ্ববর্তী বাড়ীর সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার শিল্পী (২৮) কে বাড়ীতে গিয়ে লাঠিশোটা দিয়ে আক্রমণ করা হয় এবং ঘরের দরজা-জানালা ভেঙ্গে ফেলে এমনকি প্রাণনাশের হুমকি প্রাদান করে শিল্পীকে। কনের আত্মীয়রা মনে করে ওই বাল্য বিবাহটি শিল্পী বন্ধ করেছে। শিল্পী প্রতিবেদককে জানান, বিবাহ বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই বা কারো কাছে এই বিষয়ে আমি আলোচনা করিনি। সন্ধেহ বশত আমাকে ওরা আক্রমণ করে বাড়ী ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে।

এ ব্যাপারে মধ্যনগর থানায় ওসি সেলিম নেওয়াজ জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *