আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা, সরকারি ব্যয় হ্রাস ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতায় বসা ইমরান খান শুরতেই হোঁচট খেলেন। পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলার সাহায্য দেয়া বন্ধ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পাকিস্তান সে দেশে তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমনিতেই বড় অংকের ঋণ ও বিদেশি সাহায্যের ওপরে নির্ভর করতে হয় পাকিস্তানকে। সেই অর্থ যদি না আসে তবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বড় বিপদে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে মুখপাত্র কন ফকনার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া নীতির পাশে না থাকার জন্য পাকিস্তানের জন্য রাখা ৩০০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য অন্য খাতে খরচ করা হবে। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স।
পাকিস্তানে তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বহুদিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছে পেন্টাগন। বছরের শুরুতে পাকিস্তানের জন্য রাখা ২ বিলিয়ন ডলার সাহায্য বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফকনার সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ওই সাহায্য বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন কংগ্রেস।
এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হুমকি দিয়েছিলেন, পাকিস্তান জঙ্গি দমন না করতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রই তার ব্যবস্থা নেবে। ওবামার উত্তরসূরি ৎডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসন আরও কড়া অবস্থান নিয়েছে।
মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি জিম ম্যাটিসের দাবি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের যেসব অভিযোগ রয়েছে তা মূলত নওয়াজ শরিফের ওপরেই বর্তায়। কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়ে তার দায় নিতে হচ্ছে ইমরান খানকে।