শায়েস্তাগঞ্জের শাক সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে সিলেটের হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন শহরে গঞ্জে..

আজিজুল ইসলাম সজীব:: শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন সবজি আড়ৎ থেকে হরেকরকমের শাক সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে সিলেটের হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন শহরে গঞ্জে।

শায়েস্তাগঞ্জ সহ তার আশপাশ এলাকায় উৎপাদিত শাক সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে শসা, লাউ, বরবটি, করল্লা, কাকরল, কাঁচা মরিচ, ঝিঙ্গাঁ, চিচিংগা, পটল, বেগুন, লালশাক, চালকুমড়া, কচুর মুখি, মিষ্টিকুমরা ইত্যাদি।

চাষিরা এসব সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন শায়েস্তাগঞ্জের আলীগঞ্জ বাজার ও পুরাণবাজারে। বাজার থেকে পাইকাররা ওই সব সবজি ক্রয় করে আড়তে নিয়ে আসেন। আড়ৎ থেকে বিভিন্ন যানবাহন ও ট্রেন যোগে সবজি গুলো নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটের হাওরাঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জ, বড়লেখা, জুরি, জগন্নাতপুর, ধিরাই, শাল্লাসহ সিলেট সদর পর্যন্ত।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার জেলার নানা স্থানে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে এই সব সবজি। দীর্ঘদিন যাবত শায়েস্তাগঞ্জের কদমতলী, বড়চর, নিশাপট, কাজিরগাও, বাগুনীপাড়া, আলাপুর, চরহামুয়ার কৃষকরা সবজি চাষ ও করে বিক্রি করে আসছেন। সবজি চাষই হচ্ছে তাদের বুনিয়াদী পেশা।

শায়েস্তগঞ্জের পার্শ^বর্তী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল, নিজামপুর ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চল ও চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল খ্যাত লালচাঁন ও দেউন্দি চা বাগনের নিকটবর্তী, রমাপুরসহ ওই এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষকরা নানান ধরনের সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন শায়েস্তগঞ্জের বাজার গুলোতে।

এদিকে সবজি চাষে বিভিন্ন প্রকার ঔষধ সার কীটনাশকের প্রয়োজন হয়। এসব ব্যতিত কৃষকরা ভাল ও উন্নত মানের ফসল ফলাতে পারছেন না। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তনে পূর্বে কৃষকরা তাদের জমিতে পালিত গরুর গোবর সার হিসেবে ব্যবহার করে ভাল ভাবে ফসল তুলতে পারতেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল যোগে সার ও কিটনাশক ছাড়া ফসল ফলানো অসম্ভব হয়ে পরেছে। কৃষকরা শত চেষ্টা করেও আধুনিক সার ও কীটনাশক ছারা তাদের জমিতে সবজি চাষ করতে পারছেন না। বর্তমানে ওই সমস্থ সার ও কটনাশকের দাম বহুলাংশে বৃদ্ধি পেলে কৃষকরা নিয়মিত চাষ করে যাচ্ছেন। কৃষকদের চাষকৃত সবজির সঠিক মূল্য থেকে বরাবরই বঞ্চিত হচ্ছেন।

পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে লাউ প্রতিটি ৭০ টাকা, মরিচ প্রতি কেজি ৫০/৬০ টাকা , বেগুন প্রতিকেজি ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, করল্লা প্রতি কেজি ৩০ টাকা মূল্যে ক্রয় করছেন। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।

সম্প্রতি শায়েস্তাগঞ্জ পৗরশহরের আলীগঞ্জ বাজার, পুরান বাজার সরজমিন একাধিক আড়ৎ ঘুরে আলাপ করলে জানা যায়, কৃষক ফয়জুর রহমান ,আব্দুল কাইয়ূম, রমিজ মিয়া ,রহমত আলীসহ আরো অনেক কৃষক তারা এ প্রতিবেদক কে জানান, বিভিন্ন চাষাবাদ সামগ্রী ও ধরনের সার কীটনাশকের মূল্য আকাশ চুম্বি উৎপাদন ব্যয় অনুযায়ী, সবজির মূল্য পাচ্ছেন না। উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় তার চেয়ে কয়েক গুন মূল্যদিয়ে সার ও কিটনাশক ক্রয় করে জমিতে প্রয়োগ করতে হয়েছে। তারা সার ও কিটনাশকের মূল্য কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

কৃষকরা জানান সার ও কীটনাশকের মূল্যের সাথেসাথে তাল মিলিয়ে সবজির মূল্য বজায় রাখতে হবে। জনৈক আড়ৎদার জানান , কৃষকরা প্রতিদিন ভোর বেলায় আলীগঞ্জ বাজার ও পুরান বাজারে বিভিন্ন জাতের সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন।

এ দিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ওই সব সবজির দাম পাইকারী বাজারের চেয়ে দ্বি-গুন মূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলেন যে হারে ক্রয় করা হচ্ছে সে অনুপাতে ক্রেতাদের নিকট সবজি গুলো বিক্রি করা হচ্ছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *