বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে জাপান

নিউজ ডেস্ক::
উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে সহায়তা দিচ্ছে জাপান। ২৪টি উদ্ধারকারী বোট এবং যন্ত্রপাতি কিনতে ২১১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা অনুদান দেবে দেশটি।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) মাধ্যমে এ সহায়তা দেয়া হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

‘দ্যা প্রজেক্ট ফর ইম্প্রুভমেন্ট অব রেসকিউ ক্যাপাসিটিস ইন দ্যা কোস্টাল অ্যান্ড ইনল্যান্ড ওয়াটার’ প্রকল্পের আওতায় এ চুক্তি সই হয়। আগামী তিন বছরের মধ্যে জাপান বাংলাদেশকে এগুলো হস্তান্তর করবে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম চুক্তিতে সই করেন। জাপান সরকারের পক্ষে বিনিময় নোটে সই করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইযুমি ও অনুদান চুক্তিতে ঢাকায় নিযুক্ত জাইকার প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় আধুনিক সুবিধার চারটি ২০ মিটার বোট, ২০টি ১০ মিটার বোট, এবং চার সেট পোর্টেবল মেরিন ওয়েল পলিউশন কন্ট্রোল যন্ত্রপাতি ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। ‘দ্য প্রজেক্ট ফর ইমপ্রুভমেন্ট অব রেস্কিউ ক্যাপাসিটিজ ইন দ্যা কোস্টাল অ্যান্ড ইনল্যান্ড ওয়াটারস’ নামক প্রকল্পের আওতায় এই সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। এছাড়া এ প্রকল্পটির মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দীর্ঘ সমুদ্র অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধ, সমুদ্রে কর্মরত জনগণ এবং বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া, সমুদ্রে সংগঠিত সব ধরণের ক্ষতিকর কার্যক্রম রোধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ জলসীমায় ত্রাণ কার্য পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব হবে।

ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মেট্রোরেল প্রকল্পে বড় ধরনের সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। জাপান আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বর্তমানে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যা চলতি অর্থবছরে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু আমরা সেই জায়গাটিতে জোর দিচ্ছি। ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অব্যাহত রেখেছি। ফলে গত অর্থবছর রেকর্ড সংখ্যক প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় সম্ভব হয়েছে।

হিরোইয়াসু ইযুমি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে জাপান গর্বিত। উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষায় কোস্টগার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ে জননিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে। তাই কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করতে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের উপ-মহাপরিচালক কমডোর বশীর উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক (পরিকল্পনা ও অর্জন) ক্যাপ্টেন এম মামূনূর রশীদ, পরিচালক প্রকৌশল ক্যাপ্টেন এম নুরুল ইসলাম শরিফ এবং প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার এ টি এম রেজাউল হাসান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *