পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শহরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্রের মহিলাসহ ৯  জন আটক

আজিজুল ইসলাম সজীব:: শহরে মোটর সাইকেল সহ একাধিক চুরির মামলায় ৪ চোরকে পুলিশ আটক করেছে।  দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে এসআই শাহিদ মিয়াসহ একদল পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে- শহরতলীর জালালাবাদ গ্রামে মৃত সাধন মিয়ার পুত্র সৈয়দ মিয়া (২৫), যশেরআব্দার আব্দুল খালেকের পুত্র রনি মিয়া (১৮), মৃত ফরিদ মিয়ার পুত্র এমরান মিয়া (২০) ও ফজর আলীর পুত্র মঞ্জিল মিয়া (৩৪)।

পুলিশ জানায়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে শহরের বিভিন্ন স্থানে মোটর সাইকেল এবং দোকান ও বাসা বাড়িতে চুরির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

আপরদিকে, পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শহরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। প্রতিদিনই রাস্তা-ঘাট অথবা মার্কেটে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতি বছর ঈদ এলেই বেপরোয়া হয়ে উঠে এসব মহিলা ছিনতাইকারীরা। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করলে ফের আইনের ফাঁকফোকরে বেড়িয়ে এসে আবারো ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে ওই সব নারীরা। তবে মজার বিষয় হচ্ছে প্রতিটি অভিযানের সময় আটক মহিলা ছিনতাইকারীরা বি-বাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার মন্ডল গ্রামের পরিচয় দিয়ে থাকে। গতকাল বিকেলে শহরের পৌর মার্কেট এলাকায় এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক্ষদর্শী কাজী মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, তার একজন নিকটাত্মীয় বাসা থেকে টাকা পয়সা নিয়ে মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যে বাহির হয়। পরে তিনি একটি খালি টমটমে উঠেন। টমটমটি বেশ কিছু জায়গা যাওয়ার পর হঠাৎ ৪/৫ জন মহিলা এক সাথে ওই টমটমে উঠে পরে। এক পর্যায়ে টমটমের ভেতরেই ২৫ হাজার টাকা ও চেইনসহ সর্বস্ব লুট করে নেয়। পরে এ সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ৫ নারী ছিনতাইকারীকে আটক করে স্থানীয় জনতা। আটককৃতরা হলো, বি-বাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের সুলতানা (২৫), হাজেরা খাতুন (৩৫), নিহার বেগম (৩২), শারমিন (২৫) ও সাহান বেগম (৩৪)। এক পর্যায়ে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ছিনতাইকারীদের উত্তম মধ্যম দিলে তারা ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে নিজেরদেরকে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। তবে তারা অস্বীকার করলেও শহরের বিভিন্নস্থানে ছিনতাই করে আসছে বলে উপস্থিত জনতার কাছে স্বীকার করে। এছাড়াও তাদের আরেকটি গ্র“প শহরে ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত রয়েছে বলে জানায় তারা। ওই গ্র“পটিই হয়ত ছিনতাই করে থাকতে পারে বলে ধারণা করে আটককৃত ছিনতাইকারীরা। পরে উপস্থিত জনতা মহিলা ছিনতাইকারীদের অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে, প্রতিটি ঈদ এলেই শহরে মহিলা ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তাই টমটমে অথবা সিএনজিতে যাত্রীবেশী ওইসব মহিলা ছিনতাইকারী থেকে সাবধান হতে হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *