সিলেট এমজি ওসমানী ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছাত্রদল কর্মী তাওহীদুল ইসলাম (২৫) খুনের মামলার সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম মমিনুন নেসা এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. মাসুক আহমদ জানান, মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ১৬ জন হলেন- ছাত্রলীগ নেতা মো. মুশফিকুজ্জামান আকন্দ রাফি, হাফিজুর রহমান, ফারহান আনজুম নিশাত পাঠান, অন্তরদীপ ওরফে অনন্ত, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন দে ওরফে শাওন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই, আবু সালাহ মো. ফাহিম, শরিফুল ইসলাম খান, মো. জুবায়ের ইবনে খায়ের ওরফে জুবায়ের, জহুর রায়হান রিপন, এটিএম তামজিদুল ইসলাম সজল ওরফে সজয়, মো. সারওয়ার হোসেন টুটুল, মো. ওয়াহিদুর রহমান খান, মো. আরিফুর রহমান চৌধুরী, মো. আফজালুল আলম আফজাল ও আশিষ কুমার শীল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ জুন ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসে পিটিয়ে খুন করা হয় তাওহীদুল ইসলাম নামের এক ছাত্রদল কর্মীকে। তাওহীদ এমবিবিএস চর্তুথ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সামসুর রহমানের ছেলে। মা ও বোনকে নিয়ে তৌহিদ সিলেট নগরীর কাজলশাহ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে পড়ালেখা করতেন।
ওই ঘটনায় পরদিন তাওহীদের চাচা শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বড় গোপালপুরের আনোয়ার হোসেন মাতব্বর বাদি হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন দে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই সহ ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর চার্জ গঠনের মাধ্যমে ওই মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ১১ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন।