নবীগঞ্জে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে যুবতীর অনশন

নিউজ ডেস্ক::নবীগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর স্বীকৃতি দাবি করে অনশন জরিনা নামে যুবতী। এ নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের হাজী আয়ফর উদ্দিনের পুত্র মোঃ ইকবাল হোসেন এর সাথে পার্শ্ববর্তী ইমামবাঐ গ্রামের মোঃ পাখি মিয়ার যুবতী কন্যা মুন্নী আক্তার জরিনা মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বছর খানেক প্রেমের সম্পর্ক চলার পর জরিনা জিবিকার তাগিদে সৌদি আরব চলে যায়। প্রায় দুই বছর পর সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসে। দেশে আসার পর গত ২ জুলাই হবিগঞ্জে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

ইকবাল হোসেন জানান, বিয়ের পর তিনি জানতে পারে জরিনার পূর্বে আরেকটি বিয়ে হয়েছে এবং তার ৭ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। এমন অভিযোগে বিয়ের ১১ দিনের মাথায় গত ১৩ জুলাই হবিগঞ্জ নোটারি পাবলিকের মাধ্যেমে জরিনাকে তালাক দেয় ইকবাল। গত ২ দিন যাবত স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে জরিনা স্বামী ইকবালের বাড়িতে গতকাল সোমবার অনশন করে। এক পর্যায়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় জরিনা। সে ধারালো দা দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত। পরে ইকবালের পরিবারের পক্ষ থেকে নবীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে থানার এসআই সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জরিনাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অপর দিকে হাসপাতালে চিৎিসাধিন জরিনা আক্তার মুন্নির সাথে আলাপকালে তিনি জানান, তিনি প্রবাসে থাকা অবস্থায় দৌলতপুর গ্রামের আয়ফর উদ্দিনের পুত্র ইকবাল হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। দীর্ঘ ৩ বছর মুন্নি প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার রোজগারের টাকা প্রেমিক ইকবালকে দিয়ে আসছিল। চলতি বছরের প্রথম দিকে মুন্নি দেশে এসে বিয়ের জন্য চাপ দেয় ইকবাল হোসেনকে। এক পর্যায়ে গত ২ জুলাই ৩ লাখ টাকা কাবিন ধার্য করে এফিটিফিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে ইকবাল শশুর বাড়ি বসবাস করে আসছিল।

গত শুক্রবার রাতে ইকবাল হোসেন স্ত্রী মুন্নিকে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলেও পরিবারের ভয়ে ইকবাল বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাবার সুবাদে পরিবারের লোকজন মুন্নিকে বাড়িতে থেকে চলে যেতে বললে সে যাবে না বলে জানায়। এক পর্যায়ে ইকবারের পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এসআই সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ইকবাল হোসেনের বাড়ি থেকে আহত মুন্নিকে উদ্বার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এব্যাপারে এসআই সুজিত চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *