নিউজ ডেস্ক:: সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে যারা মানুষ মারবে তাদের মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত বলে মনে করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট থাকার সময় মৃত্যুদণ্ডের আইন করেছিলাম। কিন্তু আন্দোলনের কারণে আইনটি পরে বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছিল। কিন্তু যারা সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ মারবে, তাদের মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত।
গতকাল বাসচাপায় নিহত দিয়া খানম মিমের পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে গিয়ে সড়ক পরিবহন আইন আরো কঠোর করে দোষী চালকদের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পক্ষে মত দেন তিনি। এ সময় তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোকে ‘যৌক্তিক’ বলে সমর্থন দেন।
এরশাদ বলেন, এদের সব দাবি যৌক্তিক, এরা তো নিজের জন্য কিছু চায় নাই। এদের আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনও নয়। তারা চেয়েছে নিরাপদ সড়ক। এ সময় তিনি বলেন, আমার ছেলে যদি আজকে গাড়িতে করে স্কুলে যেত, সর্বক্ষণ আমি চিন্তায় থাকতাম, ছেলে বাসায় ফিরবে কি না। মৃত্যু দেখলে তো আমি আত্মহত্যা করতাম। মৃত ছেলের মুখ দেখতে চাই না আমি।
রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের সহায়তায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দাও জানান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ। নিহতদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে দেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে আরো বেশি দিতে পারতেন। তবুও তিনি সহানুভূতি দেখিয়েছেন, তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা।
সড়কে মৃত্যুর ঘটনায় নৌমন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের নানা মন্তব্যের সমালোচনাও করেন এরশাদ। তিনি বলেন, শাজাহান খানের হাসি দেখে দুঃখ পেয়েছি। একটা ছেলে মারা গেছে, একটা মেয়ে মারা গেছে। তিনি হাসিমুখে ঘটনাকে তুলনা করছেন ভারতের দুর্ঘটনার সঙ্গে। এই যদি তার প্রতিক্রিয়া, কী বলার আছে। আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক’ দাবি মেনে নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি।