সিসিক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে জামায়াতকে তারেক রহমানের অনুরোধ

আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নাম প্রত্যাহার করে নিতে জামায়াতের এক নেতাকে ফোন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থীতার বিষয়ে এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো সিটি নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর বিষয়ে একমত হলেও জামায়াত এ সিদ্ধান্তে তাদের মত দেয়নি। তাঁরা তাদের নিজেদের প্রার্থীর নির্বাচনী অবস্থান ধরে রেখেছে এখনো।

দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ জুলাই) বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আগামী ৩০ জুলাই তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে শরিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ফোনে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এবার রাজশাহী ও সিলেটের বর্তমান মেয়র যথাক্রমে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। আর বরিশালে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে মজিবর রহমান সরোয়ারকে। বৈঠকে তিনটি মহানগরেই ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থী জিতেছিল বিষয়টিকে সামনে এনে জামায়াতকে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান সেই অনুরোধই করেন বিএনপি নেতরা। কিন্তু জোটের বৈঠকে জামায়াত আবারও জানিয়ে দিয়েছে তারা সিলেটে ভোট থেকে সরে দাঁড়াবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জোটের এক নেতা বলেন, ‘জোটের বৈঠকের আগেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সিলেটে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। একটু বিলম্ব করলে কি সমস্যা হতো? এটা অপরিপক্ক কাজ হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, জোটের বৈঠক শেষে শরিক দলের নেতাদের নিয়ে কার্যালয়ের নীচতলায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না জামায়াত নেতা হালিম, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার ও বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ।

গতকাল ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল হালিম জানান যে এটা তাঁর দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। মাওলানা হালিম আরও বলেন, আমরা ১২টির মধ্যে একটা সিটিতে মেয়র পেতে পারি না? আমরা তো এটা অনেক আগে থেকেই বলে এসেছি। খুলনা, গাজীপুর ও ঢাকাসহ কোনো সিটিতেই জামায়াত কোনো প্রার্থী দেয়নি। এমনকি উপজেলা ও পৌর নির্বাচনেও জোটের প্রার্থীদের সমর্থন দেয়া হয়েছে। কিন্তু সিলেটে স্বতন্ত্র ব্যানারে প্রার্থী দেওয়ার কারণ সেখানে তাদের সাংগঠনিক অবস্থা অনেক ভালো। বৈঠকে সিলেট সিটি নির্বাচনের আগে যদি এ বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে জামায়াতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *