কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তির মালিক সিলেটের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ও বদর উদ্দিন কামরান। বিপরীতে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম নিতান্তই দরিদ্র।
হলফনামায় উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর নিজ নামে অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫৫ টাকার। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকার সমপরিমাণ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
বিভিন্ন খাত থেকে আরিফের বছরে আয় হয় ৭ লাখ ৫৮ হাজার ১২০ টাকা। কম যান না তাঁর স্ত্রীও, ২৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৭২ টাকা অস্থাবর সম্পত্তির মালিক আরিফের স্ত্রী বছরে আয় করেন ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০ টাকা।
কৃষি অকৃষি মিলে প্রায় ১৪ একর জমির মালিক আরিফুল হক চৌধুরী ৭ টি ফৌজদারী মামলার আসামী। আরিফের ব্যাংক ঋণ রয়েছে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৩০৩ টাকা।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮১ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির মালিক। তার মধ্যে নগদ রয়েছে ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৫২ টাকা। তবে সাবেক এই মেয়রের স্ত্রী তার চেয়ে একটু ধনী। তাঁর রয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ১৩ হাজার ৫৩১ টাকা। যার মধ্যে নগদ টাকা ৮৪ হাজার ৩৩১ টাকা আর বাদ বাকি বিভিন্ন ব্যাংকে গচ্ছিত ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে।
বালু পাথর ব্যবসায়ী কামরানের বাৎসরিক আয় ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪০৩ টাকা। কামরানের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই। তিনি ব্যাংকের কাছে ৬৮ লক্ষ ৮০ হাজার ২৮২ টাকা দায়বদ্ধ।
অস্থাবর সম্পত্তির মতো স্থাবর সম্পত্তিতেও কামরানের চেয়ে এগিয়ে আছেন তাঁর স্ত্রী আসমা কামরান। কামরানের ৫৬ লাখ ২০ হাজার ৮৫০ টাকার সম্পত্তি থাকলেও স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ০১ হাজার ৩৯০ টাকার সম্পত্তি।
এ ব্যাপারে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন কামরান বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বেশিরভাগ সম্পত্তিই তাঁর পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত। এছাড়া তিনি আমার প্রতিটি ব্যবসায় যৌথ অংশীদারও।’
অন্যদিকে ঋণমুক্ত সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের নগদ কোনো টাকা পয়সা নেই। অস্থাবর সম্পত্তির হিসেবে ৫০ হাজার টাকা জমা রয়েছে ব্যাংকে। জিন্দাবাজারস্থ মুদির দোকান থেকে বছরে আয় করেন ২ লাখ টাকা। এর অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে আছে স্ত্রীর ২২ ভরি সোনা। সেলিমের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে সামান্য। পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া বাড়িটির ৬ ভাগের ১ অংশের মালিক তিনি। তার নামে রয়েছে ৬ টি ফৌজদারী মামলা।