নিউজ ডেস্ক:: আজ শনিবার সিলেটের তৃনমূলের ১হাজার ১শ’ ১০জন নেতাকর্মীদের নিয়ে বসছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেট বিভাগের চারটি জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, বিদ্রোহী চেয়ারম্যান, পরাজিত চেয়ারম্যান, দলীয় জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসবেন। ইতিমধ্যে ওই নেতারা রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। প্রিয় নেত্রীর ডাকে সাড়া দিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা মুখি হয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়- আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন দলের বর্ধিত সভার পর তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার প্রথম দফায় সিলেট সহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বার, দলীয় জেলা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বসছেন। আর দ্বিতীয় দফায় আগামী ৭ জুলাই ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনা বিভাগের নেতাদের নিয়ে বর্ধিত সভায় বসছেন শেখ হাসিনা।
জানা গেছে – সিলেট জেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বর্ধিত সভায় যোগ দিচ্ছেন ২৭০ জন, মৌলভীবাজার থেকে ১৯২ জন, সুনামগঞ্জ থেকে ৪২৫, হবিগঞ্জ থেকে ২২৩ জন। সর্বমোট ১হাজার ১শ’ ১০জন নেতাকর্মী ও দলীয় জনপ্রতিনিধি ওই বর্ধিত সভায় থাকবেন।
যাঁদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক, জেলা পরিষদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, দলীয় পরাজিত চেয়ারম্যান, বিদ্রোহী চেয়ারম্যান (বিজয়ী), পৌরসভার দলীয় কাউন্সিলর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক রয়েছেন।
দলীয় সূত্র আরও জানায়- আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতাদের সুসংগঠিত করা, নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শেখ হাসিনা নির্দেশনা দেবেন। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান শেখ হাসিনা। তাই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। সংগঠনকে গতিশীল করা, দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসন করাসহ আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার ব্যাপারে সরাসরি নির্দেশনা জানাতে এবার ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের ঢাকায় ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একই উদ্দেশ্যে গত ২৩ জুন জেলা, থানা, মহানগর ও পৌরসভার নেতাদের ঢাকায় ডেকে বর্ধিত সভা করে নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সেই বর্ধিত সভায় রাজনৈতিক সুফল এসেছে। ফলে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।