নগরীতে ব্যবসায়ীকে বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর, লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায়

সিলেট নগরীর লালদিঘীরপারের এক ব্যবসায়ীকে বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর, লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও উলঙ্গ মেয়ের সাথে ছবি তুলে ব্ল্যাক মেইলের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার (২৪ জুন) এমন অভিযোগ এনে এসএমপির শাহপরাণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ফয়জুল ইসলাম সওদাগর। তিনি নগরীর লালদিঘীরপার নতুন মার্কেটের রিফাত স্টোরের মালিক। শাহপরান থানায় মামলা নং- ২৩, তারিখ: ২৪.০৬.২০১৮।

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, শাহপরাণ থানাধীন শাপলাবাগ ২নং রোডের ৩৩নং বাসার বাসিন্দা মো. রাসেলের স্ত্রী সাদিয়া ও টুলটিকর গ্রামের শিপলু উরফে শিপন।

মামলার এজাহারে তিনি উলে­খ করেন, ফয়জুল ইসলাম সওদাগর তার মালিকানাধীন লালদিঘীরপারের রিফাত ষ্টোরে মামলার আসামী সাদিয়ার স্বামী মো. রাসেলকে চাকরি দেন। এই সুবাদে প্রায়ই মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগ হতো। সর্বশেষ গত ১৯ জুন মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সাদিয়ার বাসায় দাওয়াতে যান সওদাগর। বাসার যাওয়ার কিছুক্ষণ পর মামলার ২য় আসামী শিপন সাদিয়ার বাসায় আসে। এরপরই তারা সওদারের হাত পা বেঁধে ফেলে এবং তার সাথে থাকা ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

অতঃপর মামলার আসামীরা ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে উলঙ্গ করে সওদাগরের কাছে আনে এবং তাকেও উলঙ্গ করে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরার নির্দেশ। সওদাগর এসব কাজে অনীহা প্রকাশ করলে তারা তাকে মারধর করে। তাকে কাঠের রুল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে প্রাণে বাঁচতে সওদাগর মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরলে আসামী শিপন ভিডিও ও চিত্রধারণ করে। আসামীগণ সওদাগরকে ৫ লক্ষ টাকা বিকাশে আনতে বলে, নতুবা তারা অনলাইনে এই ভিডিওগুলো ছেরে দেওয়ার হুমকি দেয়। সওদাগর হঠাৎ করে এতো টাকা আনিয়া দিতে না পারায় পরদিন ২০ জুন বুধবার তার কাছে আসামীগণ ১৭ লক্ষ পাওনা আছে বলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেয়।

তাদের নির্দেশ মতো ১৭ লক্ষ টাকা আনিয়া দিলে তারা স্ট্যাম্প ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও-স্থির চিত্র ফেরত দেওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে। ঐদিন দুপুর ১২টায় সওদাগরকে হাত পায়ের বাঁধ খুলে দিলে তিনি তাৎক্ষণিক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। এরপর থেকে আসামী তাবে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা প্রদানের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এ মুহুর্তে সওদাগর কোন উপায়ান্তর না পেয়ে সুষ্ঠু বিচার পেতে আইনের আশ্রয় নেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *