নিউজ ডেস্ক:: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনায় নৈশ প্রহরীকে আটক ও কারাগারে পাঠানোর পর এবার একই উপজেলার কর্ণফুলী ডিগ্রী কলেজের ডরমেটরিতেও অসামাজিক কর্মকান্ডের সময় দুই তরুণীসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পার্শবর্তি কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কাপ্তাই থানা পুলিশ।
এ সময় উলঙ্গ অবস্থায় শেখ ফরিদ (২৬), দেহপসারিনি মনি (১৭) ও রূপাকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর নিজের দোষ প্রকাশ্যে স্বীকার করায় যুবক শেখ ফরিদকে (২৬) তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং দুই তরুণীকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত। গ্রেপ্তার যুবক একজন নির্মান শ্রমিক বলে দাবি করেন। কাপ্তাই থানার উপপরিদর্শক মাসুদ জানান, গ্রেপ্তার নির্মাণ শ্রমিক শেখ ফরিদ কর্ণফুলী কলেজ সংলগ্ন আব্দুল মান্নানের পুত্র। সে কর্ণফুলী কলেজের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত।
ঈদ উপলক্ষে তার সহকর্মীরা বাড়িতে গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা কর্তৃক সাইডের কাজ দেখাশুনা করার দায়িত্বে নিয়োজিত রাখা হয়েছিল তাকে।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে টাকার বিনিময়ে খাগড়াছড়ির নবিনগরের মো. আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মনি (১৭) ও একই এলাকার শুভ দাসের কন্যা রূপা (২৫) কে ভাড়ায় এনে উক্ত ডরমেটরিতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।
এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানায়। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে উক্ত তিনজনকেই উলঙ্গ অবস্থায় হাতেনাতে আটক করেন।
ঘটনার পরপর রাত আড়াইটার দিকে ইউএনও রুহুল আমিন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করেন। এতে কলেজের ডরমেটরিতেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও রুহুল আমিন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট রুহুল আমিন জানান, শুধু এদিন নয়, কর্ণফুলী কলেজের ডরমেটরিতে দীর্ঘদিন ধরে আসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় কলেজের নৈশ প্রহরীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা বি এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও মাদকের সেবন ও পতিতা ব্যবসা পরিচালনার দায়ে গত শুক্রবার রাতে ওই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীকে গ্রেপ্তার করে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন ইউএনও রুহুল আমিন।