ঈস্পিতা অবনী চৌধুরী-
‘বিভাগ :গদ্যকবিতা’
শেষরাতের দিকে যখন চাঁদ ডুবে যায়, তখন আকাশ দ্যাখতে বসলে বেশ প্রবলেমে পড়ি।
ধরে নেয়া যাক,একদৃষ্টে অদূরে কোন এক তারা দেখছি, অল্প সময় ধরে, ওতেই হ্যালুশিনেশান হয়।
দূরের ওই তারার পাশে ওরই মতো গুচ্ছ গুচ্ছ তারা দ্যাখতে পাই। জানি চোখের ভুল, আসলে ওখানটায় কিছুই নেই, তবু মনে হয় আছে।
প্রেম খানিকটা এমন’ই। শুরুতে ব্যাকুল, এরপর অভ্যেস তারপর সেই অভ্যেসের দাসত্ব…!! প্রেম নেই, তবুও মনে হয়, ঐতো ঐ ওখানেই আছে অনেক অনেক প্রেম।
ছোটবেলায় ভাবতাম উড়োজাহাজের জানালা দিয়ে বুঝি তারাদের আরও বড় বড় গোলাকার মতো করে দেখা যায়। যখন বড় হলাম, উড়োজাহাজ চড়লাম, দূরত্বের আপেক্ষিকতা টা বেশ ভালই শিখে নিয়েছি।
দূর থেকে আরো দূরে- বহুদূর, তারপর যে প্রশস্ত পথের সন্ধান পাওয়া যায়! তাকে যে নাম দিয়েছি আলোকবর্ষ। সে পথের এ কিনারে ও কিনারে তারাদের বসতি।
আমার পুরো বিশ্বাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রেমে-অপ্রেমে, কানাগলি রাজপথ ডিঙোতে ডিঙোতে হয়তো পাওয়া গ্যালেও যেতে পারে এমন’ই কোন ছায়াপথের সন্ধান!
হ্যালুশিনেশান নয়, অবশ্যই বাস্তবতার ছায়া ছায়াপথ….!!
“প্রেম যেন মোর গোধুলি বেলার
পান্থ পাখির কাকলি।”