সিলেট হবে একটি আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দে বাসযোগ্য নগরী : আরিফ

নিউজ ডেস্ক:: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, আগামী কয়েকবছরের মধ্যে সিলেট হবে একটি আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দে বসবাসযোগ্য নগরী। যার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার (৭ জুন) বিকেলে নগরীর চৌহাট্টাস্থ নব নির্মিত অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেটের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘সিলেট মহানগরকে একটি বসবাসযোগ্য নগর উপহার দিতে নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরো পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে। চৌহাট্টায় স্থাপিত পাবলিক টয়লেট মানুষের কাছে জনপ্রিয় হলে শীঘ্রই কদমতলীসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হবে আরো কয়েকটি পাবলিক টয়লেট’। আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে।

সিলেট নগরীর চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা সড়কের পশ্চিমপাশে (আলিয়া মাদ্রাসার পিছনে) লাল আর সাদা রঙের মিশেলে নির্মিত পাবলিক টয়লেট দৃষ্টি কাড়ছে সবার। ফলক উন্মেচন ও ফিতা কেটে পাবলিক টয়লেটের আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরে সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরর মোনাজাত পরিচালনা করেন।

এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, চৌহাট্টাস্থ এই পাবলিক টয়লেট সিলেটের প্রথম আধুনিক পাবলিক টয়লেট। সিলেট নগরীতে কয়েক লাখ লোকের বাস। কিন্তু বৃহৎ আয়তনের এই নগরীতে এতোদিন মাত্র দুটি পাবলিক টয়লেট ছিল। এর একটি কাজিরবাজার, অন্যটি সুরমা নদীর তীরে। এ দুই পাবলিক টয়লেট আবার পুরুষদের ব্যবহার উপযোগী। অর্থাৎ, নারীদের জন্য ছিল না আলাদা কোনো পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা। এই বিষয়টি বিবেচনায় এনে নগরীতে তিনটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিটি কর্পোরেশন।

এজন্য স্থান নির্ধারণ করা হয় চৌহাট্টা, ধোপাদিঘীরপাড় ও দক্ষিণ সুরমার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর। চৌহাট্টায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় এর উদ্বোধন করা হয়েছে। এ কাজে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশন সহযোগিতা করেছে। বাকি দুটি স্থানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলেও জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ‘এখানে পাবলিক টয়লেট ও গোসলখানা রয়েছে। নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদাভাবে দুটি করে পাবলিক টয়লেট রয়েছে; প্রতিবন্ধীদের জন্য আছে আরেকটি। পাঁচ টাকা দিয়ে এসব পাবলিক টয়লেট যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক গোসলখানায় গোসল করতে খরচ হবে ১০ টাকা; এক টাকা দিয়ে পান করা যাবে বিশুদ্ধ পানি। এখানে রয়েছে অজু করার ব্যবস্থাও। তিনি জানা, এই পাবলিক টয়লেটে সিটি কর্পোরেশন পানির লাইনের সংযোগ রয়েছে। পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি প্লাস্টিক ট্যাংকের সাথে আছে একটি রিজার্ভ ট্যাংকও। এখানে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছে পিডিবি। রাখা হয়েছে আইপিএসও। সুদৃশ্য টাইলসে মোড়ানো এই পাবলিক টয়লেটে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে দুটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। আছে ফ্যান এবং জিনিসপত্র রাখার জন্য লকারের ব্যবস্থা’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী আলী আকবর ছাড়াও সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *