নাসিম আসাদ ও সেলিম এখনো আশা ছাড়েননি

নিউজ ডেস্ক:: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে না- মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হওয়ার পরও তাদের ভাগ্যে জুটছে না সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন। এবারও তাদের অপেক্ষার পর্ব শেষ হচ্ছে না। ইতিমধ্যে নির্বাচনী মনোনয়নের দৌড়ে অনেক বেশি এগিয়ে বিএনপি দলীয় বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবেক মেয়র সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। কথা হয় সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সঙ্গে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ পাওয়ার দাবিদার তিনি।

কারণ- তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির নির্বাচিত সভাপতি। নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের বিএনপির নেতৃবৃন্দের ভোটে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। আর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি গোটা নগরের ওয়ার্ড বিএনপিকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলেছেন।

অতীতে এ রকম তৃণমূলের সিলেট মহানগর বিএনপি শক্তিশালী ছিল না বলে দাবি করে নাসিম। তৃণমূলে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে গিয়ে যতটুকু আশা করেছিলেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ততটুকু সহযোগিতা পাননি। বরং দল চলেছে একদিকে আর আরিফ চলেছেন অন্যদিকে- মন্তব্য করেন নাসিম হোসাইন। তিনি বলেন- ‘মেয়র হওয়ার আগে নির্বাচনের সময় চেয়ারপারসনের নির্দেশে আমরা বিএনপি থেকে যারা সমর্থন প্রত্যাশী ছিলাম মেয়র পদটি আরিফকে ছাড় দিয়েছিলাম।

এরপর নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে একাট্রা হয়ে কাজ করেছি। কিন্তু মেয়র হওয়ার পর আরিফুল হক চৌধুরী সরকার দল ঘেঁষা মেয়রে পরিণত হলেন। দলের দুর্দিনে মাঠের আন্দোলনে আরিফুল হক চৌধুরীকে কমই পাওয়া যায়। এতে করে সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীরা আশাহত হয়েছেন।’ নাসিম হোসাইন বলেন, ‘আমি মহানগর বিএনপির সভাপতি। গেলোবার চেয়ারপারসনের নির্দেশে আরিফকে সমর্থন দিয়েছিলাম। গেলো বার সবাই বলছিলেন- এবার আমাকে প্রার্থী দেবেন। এ কারণে আমি এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাই।’ নিজের প্রার্থিতা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন নাসিম হোসাইন। দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাদের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন।

নাসিমের অপেক্ষা দীর্ঘ দিনের হলেও আওয়ামী লীগে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের অপেক্ষা বেশি দিনের নয়। বর্তমান সরকারের শাসনেই তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। গেলোবার তিনি জোরালোভাবে মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন চাননি। এবার বেশ জোরালোভাবেই তিনি প্রার্থি। আসাদ জানিয়েছেন, ‘তিন বছর ধরে আমি প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছি। আওয়ামী লীগের একটি অংশ আমার পক্ষে মাঠে সক্রিয়। আমরা দল থেকে সুবিধা নিচ্ছি না।

কিন্তু কাজের মূল্যায়ন হিসেবে এখন প্রার্থিতা চাই।’ আওয়ামী লীগসহ সিলেটের মানুষ এখন বিকল্প প্রার্থী খুঁজছে বলে দাবি করেন আসাদ উদ্দিন আহমদ। বলেন, এখন মানুষ যোগ্য বিকল্প প্রার্থী চায়। যারা দল ও সিলেটবাসীকে সঠিক সেবা দিতে পারবে, তাদের এখন প্রার্থী করা উচিত বলে জানান তিনি। তবে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ দুজনই দলের সিদ্ধান্তে অনঢ়। তারা বলেন, এবার সিলেট সিটি করপোরেশন হতে যাচ্ছে মার্কার নির্বাচন। লড়াই হবে ধানের শীষ ও নৌকার। সুতরাং কে এখানে প্রার্থী সেটি মুখ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না।

মার্কা দেখে সবাই ভোট দেবেন। দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে ভোট হবে। এই দুজন ছাড়াও বিএনপি থেকে মেয়র পদের জন্য লবিং চালাচ্ছেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও আওয়ামী লীগ থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম। গত ১৩ই মে সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে নিজের প্রার্থিতা জানান দেন সেলিম।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *