নিউজ ডেস্ক:: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে ১০ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ওই শিশুকন্যাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিশুর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ওই শিশুকে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এদিকে বিষয়টিকে সামাজিকভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। কোম্পানীগঞ্জের নোয়াগাঁও গ্রামে আলোচিত এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
১৭ই মে রাতে ওই শিশু প্রকৃতির ডাকে দাদির ঘরে বাথরুমে যায়। এ সময় ওই শিশুর চাচাতো ভাই মাদরাসা ছাত্র মো. আব্দুল্লাহ তাকে একা পেয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। আব্দুল্লাহ পারুয়া দাখিল মাদরাসার ছাত্র। সে একই এলাকার নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। এদিকে ঘটনার সময় ওই শিশুর ঘুঙানির শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মো. আব্দুল্লাহ পালিয়ে যায়।
এদিকে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। ওখানে আসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অবশেষে ধর্ষিতার বাবা ও মাকে না নিয়ে গোপনে ধর্ষকের মা ও ভাই আব্দুর রউফ ওই শিশুকে নিয়ে সিলেটে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রথমে তারা ধর্ষণের ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আসক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় সভাপতি রকিব আল মাহমুদ মানবাধিকারের একটি টিম নিয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করে ওই হাসপাতালে যান এবং সংবাদের সত্যতা পেয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের পুলিশ ইনচার্জ এসআই পলাশকে সঙ্গে করে নিয়ে ওসিসি বিভাগে ভর্তি করেন। অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় ওসিসি বিভাগ থেকে তাকে গাইনি ওয়ার্ডে নেয়া হয়। সেখানে ওই শিশুর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়। এদিকে গতকাল সকালে গাইনি ওয়ার্ড থেকে ওই শিশুকে ফের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। ওসিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ায় ওই শিশুটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাকে নির্মমভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে।
এদিকে ওসিসিতে ওই শিশুর সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ ওই শিশুর চাচাতো ভাই। এ কারণে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি অমানবিক। শিশুটি এখনো অসুস্থ। সে সুস্থ হয়ে ফিরলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।