ইফতার: রোজদারের দুটি পুরস্কার

ধর্ম ও দর্শন ডেস্ক:: সারাদিন উপোস থাকার পর ইফতার আনন্দের একটি মুহূর্ত। ইফতারের মাধ্যমে রোজার পূর্ণতা আসে। এ সময়টি আল্লাহ মুমিনের পুরস্কারের জন্য নির্ধারণ করেছেন। নানা ধরনের খাবার সামনে পড়ে থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর বিধান না থাকায় খাচ্ছে না-এটা আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দের।

রাসুল সা. বলেছেন, রোজাদারের খুশির মুহূর্ত দুটি:
এক. ইফতারের মুহূর্ত,
দুই. তাকে যেদিন জান্নাতে স্বাগত জানানো হবে।

বান্দা যখন ইফতার সামনে নিয়ে বসে থাকে, আল্লাহ তখন ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন। ইফতারের সময় দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা থাকে। ইফতারের কোনো দোয়া বৃথা যায় না। হাদিসে আছে, রাসুল সা. বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে প্রতিদিন ইফতারের সময় দশ লাখ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।’

ইফতারের সময় এ দোয়াটি পড়ার কথা হাদিসে আছে: ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু।’ ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্যই রোজা রেখেছিলাম এবং তোমার রিজিক দ্বারাই ইফতার করলাম।’রোজাদারকে ইফতার করানোর মধ্যেও বিশেষ সওয়াব রয়েছে।

রাসুল সা. বলেছেন, ‘যিনি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবেন, তা তার অপরাধ ক্ষমা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে। তিনি রোজাদারের সমান সওয়াব পাবেন।’ তবে রোজাদারের সওয়াব থেকে সামান্যও কমানো হবে না। সামান্য খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করালেও পুরো সওয়াব পেয়ে যাবে।

সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে নেয়া সুন্নত। অযথা ইফতারে দেরি করতে নেই। তবে সূর্যাস্তের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। কেউ যদি সময় হয়ে গেছে মনে করে সময়ের আগেই খেয়ে ফেলে তার রোজা ভেঙে যাবে। তাকে এ রোজার কাজা করতে হবে।

ইফতারের মুহূর্তে অযথা গল্প-গুজবে লিপ্ত না হওয়াই ভালো। এ সময় মনে মনে জিকির ও তওবা করা উচিত। অনেকে এক সঙ্গে ইফতার করলে সম্মিলিতভাবে দোয়াও করা যেতে পারে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *