আব্দুস সালাম হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আটক

নিউজ ডেস্ক:: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর বাসচালক আব্দুস সালাম (৫২) কে হত্যার ঘটনায় রাজশাহী নগরীর কাজলা এলাকার পলাশ ওরফে শিমুল নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত পলাশ আদালতে কার্যবিধি-১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকালে সে এ হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং সহযোগী আরও ৪ জনের নাম প্রকাশ করে।

অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

রবিবার দুপুর ২টার দিকে বিষটি নিশ্চিত করেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটনের (আরএমপি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. ইফতে খায়ের আলম।

গত ২৩ (এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টায় রুয়েট বাস চালক আব্দুস সালামকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাসিবুল ইসলাম পলাশ বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৪৪, তারিখ- ২৪/০৪/২০১৮ইং ধারা ৩০২/৩৪। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের দিক নির্দেশনায় মতিহার থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব নেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটনের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখাও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেন।

তদন্তকালে জানা যায়, পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার দিন রাত্রি অনুমানিক ৯টার দিকে আব্দুস সালাম রুয়েটের মেইন গেটের পশ্চিম পার্শ্বে বিআরটিসি কাউন্টারে বসা ছিলেন। এই বিষয়টি হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজন পর্যবেক্ষণ করে। অন্যরা আব্দুস সালামের রুয়েটের অভ্যান্তরে বাসায় যাওয়ার রাস্তায় পরিকল্পনা মাফিক অবস্থান নেয়। পরে রাত্রি আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুস সালাম তার নিজ বাসার উদ্দেশ্যে সাইকেলযোগে রওনা করেন। পর্যবেক্ষণকারী দুর্বৃত্তরা অপর সহযোগীদের এই সংবাদ দিলে তারা রুয়েটের ভিতরে ছাত্রী হোস্টেলের পার্শ্ববর্তী কোয়ার্টারের রাস্তায় ফাঁকা জায়গায় জিআইপাইপ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুস সালামকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। তদন্তকালে মতিহার থানা পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ভদ্রা এলাকার ওয়াসিম নামের একজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নগরীর কাজলা এলাকার পলাশ ওরফে শিমুল নামে এক যুবককে আটক করে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *