বহিরগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে অবৈধ শিক্ষার্থীদের দখলে শাবির ছাত্র হল

নিউজ ডেস্ক:: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তিনটি আবাসিক হলের সিংহভাগ আসন এখন অবৈধ শিক্ষার্থীদের দখলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হলগুলোতে ৭৩ শতাংশ আসন খালি রয়েছে। এদিকে হল প্রশাসন বারবার ভর্তির নোটিশ দিলেও খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে দেখা গেছে।

হল সূত্রে জানা যায়, তিনটি আবাসিক ছাত্র হলে বৈধ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭৩ জন। এর মধ্যে শাহপরাণ হলের ৪৫০টি আসনের মধ্যে ৭৮ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫২৮টি আসনের মধ্যে ১৮৫ জন এবং সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ৬৫টি আসনের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে এখনো ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও ভর্তি হচ্ছে খুবই নগণ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী। এমনকি সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ধারণকৃত আসনের সংখ্যার চেয়েও বেশি শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান করছে বলে জানা যায়।

এদিকে তিন হলের মোট ১০৪৩টি আসনের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৭৭০টি আসন। এই খালি আসনগুলোতে রাজনৈতিক পরিচয়ে অবৈধ ছাত্র ও বহিরগতরা থাকছে বলে জানা গেছে। বহিরাগতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মীয় যারা সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে তাদের দেখা যায়।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, অনেকেই মনে করে রাজনৈতিক আশ্রয়ে হলে অবস্থান করলে ভর্তি হওয়ার কোন বিশেষ প্রয়োজন নেই। এই জন্য অনেকেই হলে ভর্তি হয়না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এস এম হাসান জাকিরুল ইসলাম জানান, আমরা চেষ্টা করছি যেন ছাত্র হলগুলোতে ভর্তির সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তির জন্য টাকা জমা দিয়েছে। আমাদের হলে এখনো ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। আমি আশা করব যেন হলে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থী দ্রুত ভর্তি হয়ে যায়।

এদিকে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য বলেন, অন্যান্য হলগুলো থেকে আমাদের হলে সর্বাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল। বর্তমানে অনেকের ভর্তির মেয়াদ অতিক্রম হয়ে গেছে। সেই সময় আমরা পুনঃ ভর্তির নোটিশ দিয়েছিলাম। এখনো যারা হলে ভর্তি হয়নি তাদের জন্য আমরা আবার ভর্তির নোটিশ দিব।

অপরদিকে শাহপরাণ হলে নতুন ও পুনঃ ভর্তির নোটিশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হলের একজন কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, কয়েকদিন যাবত আমরা চেষ্টা করছি যারা হলে ভর্তি না হয়েও সেখানে অবস্থান করছে তারা যেন ভর্তির আওতায় চলে আসে। হলের প্রভোস্টরা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *