গোয়াইনঘাটে এক প্রতিবন্ধির উপর হামলা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে থানা প্রশাসনের গড়িমশি, প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা

গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইসলামনগরের একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যের উপর জুলুম নির্যাতন ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উক্ত পরিবারে সদস্য প্রতিবন্ধি কবিরাজ শাহ খালিক গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের না করতে পেরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত সিলেটে একটি সিআর মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৬/২০১৮।

তার দাবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও একজন এসআই তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েও বিবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেন নি। যে কারনে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। তার পর আদালত থেকে থানায় প্রদত্ত তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে তাদের কারনে। থানা প্রশাসন সময় মতো আদালতে প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। মামলার আসামীরা হলেন ফতেহপুর বননগরের তেরা মিয়ার ছেলে বদরুল ইসলাম মেম্বার, মৃত ছাদ মুনসীর ছেলে কুদ্দুছ মিয়া, টিয়া মিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমদ সহ তাদের ৪/৫ জন সহযোগী। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৩ ফেব্রুয়ারি রাত দেড় টার দিকে একজন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সময়ে অতর্কিত হামলা চালায় বদরুল ইসলাম সহ তার অন্যান্য সহযোগীরা। এসময় তারা হুইল চেয়ারে বসা মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে কবিরাজ শাহ খালিককে লোহার রোল দিয়ে বেধড়ক আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে রামদা দিয়ে শাহ খালিককে আঘাত করলে তার মাথার একপাশে পড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। তখন তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা তাকে একটি বস্তায় ভরে নিয়ে যেতে উদ্ধুত হয়।

এসময় বাসার সদস্যদের চিৎকার শুনে আশপাশ লোকজন শাহ খালিককে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ না করায় আদালতে সিআর মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে থানা কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করছেন না বলে অভিযোগ শাহ খালিকের। যেকারনে মামলার আসামীরা সম্পূর্ণ নিরাপদে ঘুরাফেরা করতেছে। বর্তমানে তারা মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন রাতে শাহ খালিকের ঘরের টিনের চালে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলছে। তার চলাচলের রাস্তা কেটে দিয়ে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তা ছাড়া তারা মাদকদ্রব্য দিয়ে শাহ খালিককে ফাঁসানোর জন্যও চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ঘটনার ব্যাপারে শাহ আব্দুল খালিক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তাছাড়া তিনি সুবিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *