সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা এলাকার মজুমদারপাড়ায় কিশোর সোহাগ মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তার বন্ধু শাকিল আহমদ (২০)।
বুধবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম (এমএম-৩) আদালতে শাকিল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। দুপুরের দিকে ঘাসিটুলা এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত সোমবার দুপুরে ঘাসিটুলা এলজিইডি কার্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর সংলগ্ন খালের পাশ থেকে সোহাগ মিয়ার বস্তবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন বলেন, বুধবার দুপুরে নিহত সোহাগের বন্ধু শাকিলকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে আদালতে তোলা হয়। আদালতে সে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
শাকিলের জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, শাকিল ও সোহাগ পরষ্পরের বন্ধু ছিলো। তারা একসাথে হিরোইন, গাঁজা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করতো। মাদকের টাকা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব থেকে আরো কয়েকজন বন্ধু নিয়ে সোহাগকে খুন করে শাকিল। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ শেষে শাকিল আহমদকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মজুমদারপাড়ার ময়না মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা সোহাগ মিয়া নগরীর কাজিরবাজারে মাছের আড়তে দিনমজুরের কাজ করতো। গত ১৩ এপ্রিল থেকে সোহাগের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তার স্বজনরা। ১৬ এপ্রিল সকালে স্থানীয় শিশু-কিশোররা এলজিইডি অফিসের পাশে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সোহাগের বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায়।