দক্ষিণ সুরমায় খাল খননের নামে গৃহবধূর জমি দখলের চেষ্ঠা

দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় খাল খননের মাধ্যমে এক গৃহবধূর ১০ লাখ টাকার ভূমি ছিনিয়ে অন্যকে দিয়ে দিচ্ছেন শাসকদলীয় ঠিকাদাররা। ক্ষতি করছেন হাজার হাজার টাকার ধানী ফসলের। দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন ঝরঝরি খাল খনন কাজে অনিয়ম ও ভূমি লুটের এ ঘটনা ঘটছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার ইসলামপুর প্রকাশিত মূর্তি মৌজার উপর দিয়ে প্রবাহিত সরকারী ঝরঝরিখাল। এ খাল খনন প্রজেক্টের ঠিকাদারী পেয়েছেন শাসকদলের দুই নেতা আব্দুর রহিম ও ওয়েছ আহমদ। আব্দুর রহিম ইসলামপুর প্রকাশিত মূর্তি গ্রামের আনফর আলীর পুত্র ও ওয়েছ আহমদ পার্শ্ববর্তী সমসপুরের সাহির আলীর পুত্র। আব্দুর রহিম ও ওয়েছ সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে স¤প্র্রতি উপজেলার ঝরঝরি খাল খনন প্রজেক্টের ঠিকাদারী লাভ করেন। কিš‘ সিডিউল মাফিক কাজ না করে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে খাল খননের মাধ্যমে ইসলামপুর মূর্তি গ্রামের মৃত সাজিদ আলীর মেয়ে আফিয়া খাতুনের ৩৪ শতক ভূমি ধ্বংস করে দি”েছন। আফিসা খাতুনের কৃষি জমির উপর দিয়ে খাল খনন করে ২০ শতক জমি ছিনিয়ে নি”েছন। পাশপাশি নষ্ট করে ফেলছেন ভুমির আধা-পাকা হাজার-হাজার টাকার বুরো ফসল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, ইসলামপুর মূর্তি মৌজার উপর দিয়ে প্রবাহিত ঝরঝরি খালটির জরিপি দাগ নং ১৪৯০ এবং আফিয়া খাতুনের কৃষি জমির দাগ হ”েছ ১৪৯৪। ঠিকাদার আব্দুর রহিম ও ওয়েছ আহমদ মূল খাল খনন না করে খালের প্রবাহ বদলে দিয়ে আফিয়া খাতুনের মালিকানা ১৪৯৪ নং দাগের উপর দিয়ে খনন করে নিয়ে যাচ্ছেন। এত করে আফিয়া খাতুন তার মালিকানা ভূমির ১০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ শতক ভূমি হারাচ্ছেন।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঠিকাদার আব্দুর রহিম ও ওয়েছ আহমদ খালের পার্শ্বের ভূমির মালিকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পেয়ে সিডিউল বহির্ভুত খাল খননের মাধ্যমে সরকারী খালের প্রবাহ বদলে ও আফিয়ার ভূমির মালিক বানিয়ে দেয়ার পায়তারা করছেন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে ঠিকাদার আব্দুর রহিম ও ওয়েছ আহমদ-এর মটোফোনে (০১৭১৫৪৬৫৯৭৫ ও ০১৭১৬-৬৮৯৪৯৭) বুধবার (১৬ এপ্রিল বেলা ২টায়) যোগাযোগ করা হলে তারা সাংবাদিকের মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি।
এব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসক, এসএমপি পুলিশ কমিশনার ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে আবেদন দাখিল করেছেন আফিয়া খাতুনের ভাই কৃষক আহমদ আলী।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *