সিসিক মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে মামলা

নিউজ ডেস্ক:: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ চারজনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা হয়েছে। সম্প্রতী উর্দ্ধতন সহকারী জজ সদর আদালত, সিলেট এ মামলা করেন আখালিয়া সুরমা আবাসিক প্রকল্পের ম্যানেজিং পার্টনার শামিম আহমদ (স্বত্ব মামলা নং- ২৯/২০১৮)। সুরমা আবাসিক প্রকল্পে নির্মিত ৪টি বহুতল ভবন ভোগদখলে অনধিকার প্রবেশ এবং ভাংচুর করার পায়তারার অভিযোগ এনে এ মামলায় মেয়র ছাড়াও বিবাদী করা হয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সার্ভেয়ারকে।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে- আখালিয়া এলাকায় নির্মিত ৪টি বহুতল ভবন মাইশা টাওয়ার, আয়েশা টাওয়ার, তাহসিন টাওয়ার ও নাজা টাওয়ারসহ অপরাপর ভুমি সুরমা আবাসিক প্রকল্প নামে পরিচিত। যেখানে বরাদ্দপ্রাপ্তরা বহু অর্থ খরচ করে মাটি ভরাট করে টাওয়ার নির্মাণ করেছেন এবং বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যাক্তিগণ সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে বসবাস করছেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বাদী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকার সুযোগে বিবাদীগণ পূর্বে কোন নোটিশ না দিয়ে পুলিশসহ একতরফাভাবে সার্ভের মন্তব্যে হামলা চালায়। তখন বাদী সুরমা আবাসিক প্রকল্পের কোন সার্ভেয়ার কিংবা ম্যানেজার কিংবা বাদী উপস্থিত ছিলেন না। সেই সুযোগে বাদী পক্ষের মালিকানাধীন বিবাদীপক্ষ উপরোক্ত ৪টি টাওয়ার অবৈধভাবে অনুমতি ব্যতিত ভাঙ্গার জন্য প্রস্তুতি নেন। তখন বাদী মোবাইলে খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন এবং এতে বাধা দেন। তখন বিবাদীপক্ষ পুনরায় আরো দ্বিগুন পুলিশ ফোর্স নিয়ে ভবন ভাংবেন এমন হুমকি দিয়ে চলে যান এবং যাওয়ার আগে দকলের নিমিত্তে লাল শালু পুতে যান। তাই বিবাদীর বিরুদ্ধে অস্থায়ী অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দ্বারা বিবাদীগণকে বিরত রাখা আবশ্যক বলে উল্লেখ করেন বাদী শামিম আহমদ। এসব অভিযোগে ৪টি বহুতল ভবন ভোগদখলে অনধিকার প্রবেশ এবং ভাংচুর করার পায়তারার কথা উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেন বাদী।

একই সাথে ৪টি টাওয়ারসহ অপরাপর ভুমি যা সুরমা আবাসিক প্রকল্প নামে পরিচিত তা বাদীর ভোগদখলে যাতে বিবাদীগণ কোনরুপ বাধা-বিঘ্নে সৃষ্টি না করেন, টাওয়ারগুলি যেন ভাংচুর না করেন, সার্ভের নামে নালিশা ভুমি হতে বাদীকে উচ্ছেদ না করেন এবং সর্বোপরি বাদীর উপস্থিতি বিবাদীপক্ষ একতরফাভাবে কোন জরিপ না করেন এই মর্মে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দ্বারা বিবাদীগণকে বিরত রাখার দাবী জানান।

উল্লেখ্য, সিলেট মহানগরীর আখালিয়ার সুরমা আবাসিক প্রকল্পে নির্মিত আকাশছোঁয়া ভবনে দখল হয়ে গেছে প্রায় ৪০ ফুট প্রশস্থ মালনিছড়া। ছড়া দখল ও ভরাট করে সুরমা আবাসিক প্রকল্পে দশ ও এগারো তলা দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাল্টে দেয়া হয়েছে ছড়ার গতিপথও। স্থানীয় দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ সালের নকশা অনুযায়ী ছড়া উদ্ধারে যান সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছড়া পরিমাপ করতে গিয়ে ছড়া দখল ও ভরাট করে ১০ ও ১১ তলা দুটি ভবন নির্মাণের সত্যতা পান তারা। পরে, প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের যৌথ সার্ভে করার প্রস্তাব দেন। তবে প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও কোন সাড়া না পেয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি সার্ভেয়ারসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৯৫৬ সালের নকশা অনুসারে ছড়া চিহ্নিত করেন মেয়র।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *