সিলেটের ক্বীনব্রীজ এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী আল সালামের জানাজা মঙ্গলবার বাদ আসর হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হবে মেধাবী এই ছাত্রকে ।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে সিলেট ডায়াবেটিক হসপিটালের মরচুয়ারীতে রাখা হয়।
জানাজা ও দাফনের আগে মঙ্গলবার বেলা দুইটায় মেহেদী আল সালামের মরদেহ মদীনা মার্কেটের সালাম ম্যানশনে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সেখান থেকে দরগাহে হযরত শাহজালাল মাজারে মসজিদে জানাযার জন্য আনা হবে।
সদা হাস্যোজ্বল, বিনয়ী ও অত্যান্ত নম্র স্বভাবের মানুষ ছিল মেহেদি। কখনো কারো সাথে রাগ করতে দেখিনি। নিয়তি খুবই নিষ্ঠুর। গতকাল মধ্যরাতে ঢাকা যাওয়ার উদ্দ্যশ্যে সিলেটের বাসা থেকে বের হলে সে কিনব্রিজ এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পরে। ছিনতাইকারীরা ওর লেপটপ আর মোবাইল নেওয়ার জন্য ওর পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে, প্রচুর রক্তক্ষরণে হাসপাতাল নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
মেহেদী আল সালাম সিলেট নগরীর মদীনা মার্কেটের বাসিন্দা। তার পিতা মরহুম এডভোকেট আব্দুস সালাম সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা ও সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। তারা দুই ভাই ও দুই বোন। এক বোন আফসানা সালাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক ছিলেন এখন লন্ডন প্রবাসি আরেক বোন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিজি) চিকিৎসক এবং ভাই লন্ডন প্রবাসী। খালাতো ভাই আফিয়ান চৌধুরী লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নে।