সরকার মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে

বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে। যেখানেই মাদক সেখানেই অভিযান চালানো হচ্ছে। আমাদের যুব সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। আর দেশকে মাদকমুক্ত করতে হলে মাদকাশক্তি নিরাময়কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে। মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আছে সেগুলো ধীরে ধীরে মুছে ফেলতে হবে। এখন মাদকাশক্ত নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে সরকার প্রাধান্য দিচ্ছে। আগামীতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার লাইসেন্স পাওয়া খুবই কষ্টকর হবে। তাই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

বেসরকারি মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র মালিকদের নিয়ে সংগঠন নেটওয়ার্ক অব এডিকশন রি-হ্যাবিলাইটেশন সেন্টার অব সিলেটের (নারকস) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথাগুলো বলেন সিলেট বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদ হোসেন মোল্লা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে (২২ মার্চ) নগরীর উপশহরে একটি অভিজাত হোটেলে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় নারকস প্রতিনিধিরা তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এসব সমস্যা সমাধানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা কামনা করা হয়। এ সময় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদ হোসেন মোল্লা প্রতিষ্টান পরিচালনার জন্য যে যে নিয়ম কানুন আছে সেগুলো মানার আহবান জানান। কেউ অন্যায় করলে ছাড় দেওয়া হবেনা বলেও জানান।

নারকস সভাপতি ও এইম ইন লাইফের চেয়ারম্যান সৈয়দ খিজির হোসেন এ্যনুর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক প্রতিশ্রæতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশনের সভাপতি ফয়সল আহমদ বাবলু। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন কমিটির সহ-সভাপতি কামাল আহমদ খান, সহ সাধারন সম্পাদক এজাজ ঠাকুর চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ আহমদ বাবু, কোষাধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক মাশরুর আলম, প্রচার সম্পাদক নিখিল তালুকদার, সমাজসেবা বিষয়য়ক সম্পাদক জামাল আহমদ খান, মঞ্জুর আহমদ, মিহির দেব, দেওয়ান মুরাদ হাসান, মারুফ আহমদ চৌধুরী, আনসার উদ্দিন হীরা, ওহিদুর রহমান জিয়া, শাইস্তা মিয়া, কামরুল হাসান চৌধূরী বিপ্লব, সঞ্জয় দত্ত, আলম চৌধুরী, গৌতম কুমার রায় ও সৈয়দ মিলাদ হোসেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *