মো.সাজন আহমেদ রানা, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি:: স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে কোন অবকাঠামো সমগ্র মৌলভীবাজার জেলায় এ নিয়ে বিগত আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজার জেলার বঙ্গবন্ধু প্রেমী মুক্তিযোদ্ধের চেতনাধারী নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা, বর্তমান প্রজন্মের তরুন- তরুনীরা আক্ষেপ প্রকাশ করছেন।
এক্ষেত্রে, তারা বলছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা এগিয়ে আসলে জাতির পিতার নামে প্রত্যেকটি উপজেলায় কমপক্ষে ১টি করে অবকাঠামো নির্মাণ করে নামকরণ করা কোন ব্যাপারই নয়। দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে শ্রীমঙ্গল – কমলগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগ জয়লাভ করে আসলেও বাংলাদেশ চা বোর্ডের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এখনো এলাকায় কোন স্থাপনা বঙ্গবন্ধুর নামে গড়ে উঠেনি। সমগ্র জেলায়ই বিভিন্ন এমপি, পৌর মেয়র, বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তির নামানুসারে অবকাঠামো গড়ে উঠলেও স্বাধীন বাংলাদেশের রুপকারের নামে কোন অবকাঠামো গড়ে না উঠাকে অনেকেই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। শ্রীমঙ্গলে পৌরসভা শহরের ৫ টি পৃথক জায়গায় দৃষ্টিনন্দন স্টীল স্ট্যাচু বসালেও, বঙ্গবন্ধুর কোন ভাস্কর্য বা আবক্ষ ছবি বসায়নি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, এ জেলার এমপিরা চা জনগোষ্টির ভোটে নির্বাচিত হন। চা বাগান কেন্দ্রীক সংখ্যালঘু নাগরিকরা আওয়ামীলীগের বিশ্বস্থ ভোট ব্যাংক ও বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অত্যন্ত আস্থাশীল। এছাড়াও, জেলার স্থায়ী ও পুরাতন বাসিন্দারা এবং তাদের উত্তরসুরীরা প্রগতিশীল ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনাবাহী। ফলে, দলীয় মনোনয়ন পেলে এ জেলায় সংসদ সদস্যরা অনেকটাই নিশ্চিত থাকেন জয়লাভের ব্যাপারে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধের তথ্যসংগ্রাহক ও গণমাধ্যমকর্মী বিকুল চক্রবর্তী জানান, মৌলভীবাজার জেলাবাসী জাতির জনকের নামে একটি স্থাপনা এতদঅঞ্চলে হলে অত্যন্ত খুুশী হবেন। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নেছার আহমেদ বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার জন্মদিন বা যেকোন জাতীয় দিবসে আমরা মহান জাতির পিতার অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে মৌলভীবাজারে স্থায়ী অবকাঠামো বা প্রতিকৃতি স্থাপন করলে নতুন প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, বলেন ‘মহান ব্যক্তির স্মৃতি ধরে রাখতে, আমাদের স্মৃতি রক্ষার্থে যথাযথ পন্থা অনুসরণ করে জাতির জনকের ভাস্কর্য বা প্রতিকৃতি স্থাপন অথবা তাঁর নামানুসারে অবকাঠামো নির্মাণ করলে জেলাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত হবে।
মৌলভীবাজার – ১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়েরা মহসীন বলেন, ‘সাবেক সমাজকল্যানমন্ত্রী মৌলভীবাজারে জাতির জনকের স্মৃতিকে চিরভাস্বর করে রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু, তার আকষ্মিক প্রয়ানে তিনি তা করে যেতে পারেননি। আমি তার অসমাপ্ত সকল কাজ সমাপ্ত করতে বদ্ধপরিকর। আমি এ জনদাবী পুরণে সংসদ সদস্য হিসেবে সর্বাত্বক চেষ্টা করব।