সুমন ইসলাম:: সিলেটের লাক্কতুরা চা বাগানে রবিবার বিকেলে ঘুরতে এসে বাগানের চকিদার চাঁদাবাজ নান্টু বাহিনীর কাছে হেনস্তার শিকার হন পর্যটকরা।
এসময় ঘুরতে আসা এক দম্পতির কাছে চাঁদা দাবী করেন বাগানের চকিদার নান্টুসহ তার বাহিনী। তারা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, এক পর্যায়ে চকিদার নান্টু উত্তেজিত হয়ে পর্যটকট দম্পতিকে অশ্লীল ভাষাগ গালিগালাজ করেন এবং সাথে থাকা শিশুকে আঘাত করেন তিনি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা গণমাধ্যম কর্মীরা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করেন, মহুর্তেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় কমেন্টে উঠে আসে জোরালো প্রতিবাদ।
চারপাশে সবুজের সমারোহ। নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচা পেতে আছে সজীব প্রকৃতি। উঁচু-নিচু টিলা এবং টিলাঘেরা সমতলে সবুজের চাষাবাদ। শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঝে মাঝে টিলা বেষ্টিত ছোট ছোট জনপদ। পাহাড়ের কিনার ঘেষে ছুটে গেছে আকাবাঁকা মেঠোপথ। কোন যান্ত্রিক দূষণ নেই। কোথাও আবার ধাবমান পথে ছুটে চলছে রূপালী ঝর্ণাধারা। প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যের সম্মিলন যেন এখানে। এসব সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটে ছুটে আসেন পর্যটকরা, আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় বাগানের চাঁদাবাজরা, অনেকটা নিরুপায় হয়ে চাঁদা দেন বাহির থেকে আসা পর্যটকরা।
স্থানীয়রা জানান এরা দীর্ঘদিন থেকেই এভাবে চাঁদাবাজি করে আসছে এটা দেখার কেউ নাই।
বিশেষ করে তাদের কাছে হেনস্থার শিকার হন সিলেটের বাহির থেকে আসা পর্যটকরা। চকিদাররা বাগানের সামনেই নিরাপত্তা অজুহাত দেখিয়ে বাঁশ দিয়ে গেইট বেধে রাখে, পর্যটকরা আসলেই তারা বাগানে প্রবেশ বাবত ২০০/৩০০ টাকা দাবী করে, এর পর গাইড হিসেবে সাথে নিতে হয় তাদেরই একজন লোক উনাকে দিতে হয় আরো ২০০ টাকা এভাবেই প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদা উত্তলন করে তারা ।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন,সিলেট ভ্যালীর কার্যকরী পরিষদের সভাপতি, রাজু গোয়ালার সাথে কথা বললে তিনি জানান, এঁদের চাঁদাবাজিতে তারাও অতিষ্ঠ। তিনি বলেন এঁদের চাঁদাবাজির কারণে বাগানের সুনামক্ষুন্ন হচ্ছে,নান্টু একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ এর আগেও অনেক পর্যটকদের সাথে চাঁদা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে পরিবর্তে সে আর এসব করবে না বললেও পুনরায় চাঁদা নেওয়া শুরু করে, তবে এবার আমরা এর একটা কঠিন ব্যাবস্থা নেবো। আমি নিজে এয়ারপোর্ট থানাকে বিষয়টি অবহিত করবো।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহদত হোসেন’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পর্যটকদের সাথে চাঁদাবাজি এটা চরম অন্যায় আর বাগানে প্রবেশের সাথে চাঁদা বা বকশিস দেওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। বিষয়টি বাগান কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং শিশুকে মারধর করার বিষয় টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব, এবং কারা চাঁদাবাজি করে খবর নেওয়ার জন্য আজকেই সেখানে পুলিশ পাঠাচ্ছি। তিনি আরো বলেন এয়ারপোর্ট থানার অধীনে চা বাগানে পর্যটকদের প্রবেশে কেউ চাঁদা চাইলে তাৎক্ষনিক এই নাম্বারে 01713374521 যোগাযোগ করলে সাথে সাথে তিনি ব্যাবস্থা নিবেন।