সুমন ইসলাম:: নতুন পোষাক না থাকায় দুজন শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে নতুন বই দেয়া হয়নি- এমন অভিযোগের সত্যতা পায়নি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (আসক)। বুধবার সংস্থার সিলেট বিভাগীয় প্রেসিডেন্ট রাকিব আল মাহমুদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল নগরীর উমরশাহ তের রতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরজমিনে গেলে অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাননি । তারা যে শিক্ষার্থীরা বই পায়নি বলে অভিযোগ ওঠে তাদের সাথেও কথা বলে। এরা হল চতুর্থ শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্র গোলাম মোস্তফা এবং ছাত্রি খাদিজা। তারা জানায়, পোশাকের কারনে আমাদের বই না দিয়ে পাঠিয়ে দেননি। আমরা স্বইচ্ছায় বাসায় চলে গেছি। ওনারা বই দিচ্ছিলেন। একটু দেরি হওয়ায় অনেকে স্কুল থেকে চলে যাচ্ছিল তাই তাদের দেখাদেখি আমরাও বাসায় চলে যাই। তাদের অভিভাবক খায়রুন বেগমের বরাত দিয়ে আসক জানায় তার স্বামীর একটা হাত নেই। খাদিজা তার মেয়েআর গোলাম মোস্তফা ভাই। বই পায়নি এমন অভিযোগও নেই তাদের।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি মোঃ বাদশাহ মিয়া বলেন, আমি ঐ সময় নিজে উপস্থিত ছিলাম। সুন্দরভাবেই বই বিতরন হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা বলেন, পত্রিকায় আশা সংবাদটি সত্য নয়। সময় সল্পতার জন্য একদিনে সকলকে বই দেওয়া সম্ভাব হয়ে ওঠে না। কখনো কখনো দুই দিন লেগে যায়। আবার কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী দেরীতেও বই নেন। যথেষ্ঠ পরিমাণে স্কুলড্রেস পরে আসে নি, এমন ছাত্র-ছাত্রীদেরও বই দিয়েছি।
অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা বেগম প্রতিবেদকে জানান, ১/০১/২০১৯ ইং তারিখে কে বা কারা এই বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে বিষয়টি ফেইসবুকে এবং কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে দিয়ে দেন এতে মানুষ বিব্ররকর মন্তব্য করছেন যা একজন শিক্ষিকা হিসাবে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এভাবে সঠিক তথ্য না জেনে নিউজ প্রকাশ করার জন্য।