নিজস্ব প্রতিনিধি:: দিরাই পৌর শহরে সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ‘রিক্সা চালাইয়াতো যাওয়াই যায় না, কেউ যদি জোর কইরা লইয়া যায়, গাধার মতো টাইন্না নেওয়া লাগে, এরপরেও রিক্সা থাকি যাত্রী পড়িযায়। ভালা ভালা মানুষ রিক্সা থাকি পইড়া ব্যাথাতো পায়ঔ, খানা-খন্দে মোবাইল পইড়াও অনেকের নষ্ট অয়, অনেক দিন ধইরা ইঅবস্থা।’
দিরাই পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকার রিক্সাচালক আব্দুল কাদির মিয়ার মন্তব্য এটি।
হেঁটে চলাই দায়, হেঁটে গেলে পায়ের হাঁটু পর্যন্ত ময়লা লাগবে। হোছট খাবার আশংকাও থাকে। পৌর এলাকার ভেতর এমন সড়ক থাকবে, এটি চিন্তাও করা যায় না। আমরা দ্রুত এই সড়ক মেরামত চাই। দিরাই বাজারের ব্যবসায়ী খালেদ আহমদ জাইম এভাবেই দিরাই পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর দুর্ভোগের কথা জানালেন।
পৌরসভার একাধিক বাসিন্দা জানালেন, পৌরসভার থানা পয়েন্ট থেকে বাসস্টেশন, কলেজ রোড, উপজেলা রোড, রাধানগর সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া কলেজ রোড থেকে বাসস্টেশন হয়ে হাসপাতালমুখী সড়কেরও বেহাল অবস্থা।
পৌর নাগরিকরা জানালেন, পৌরসভার এই সড়কগুলো দিয়ে জরুরি কাজ ছাড়া গত এক বছর হয়, কেউ যেতে চান না। অথচ. এই সড়কগুলোই উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক।
উপজেলা রোডের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষার্থী রফিকুন্নেছা বলেন,‘কলেজ যেতে চাইলে, রিক্সা চালকদের দ্বিগুণ ভাড়া দেবার কথা বলে অনুনয়-বিনয় করলেও তারা যেতে চায় না। আবার পায়ে হেঁটে গেলে স্কুলের পোশাক ময়লা হওয়া থেকে রক্ষা করা যায় না। খানা-খন্দে এমন অবস্থা হাঁটতে গেলে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যায় না।’
সামাজিক সংগঠন ‘আমরা সচেতন দিরাইবাসী’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন,‘ এই সড়কগুলোর এতো খারাপ অবস্থা, এগুলো দিয়ে এখন আর চলাচলের উপায় নেই। থানা পয়েন্ট থেকে বাসস্টেশন পর্যন্ত অংশ এতোদিন বলা হয়েছে পৌরসভার নয়, এলজিইডি বা সড়ক ও জনপথ’এর সড়ক, তারা কাজ করাবে। এখন পৌরসভা দায়িত্ব নিয়েছে এবং দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করবে বলে জানানো হয়েছে আমাদের।,
পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিষ কুমার দাস বললেন,‘থানা পয়েন্ট থেকে বাসস্টেশন পর্যন্ত সড়ক, রাজানগর সড়ক এবং বাসস্টেশনের পাশের ড্রেন’ এক কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন করে করার দরপত্র আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর প্রচার করা হবে। দরপত্র গৃহিত হলে দ্রুত এই সড়কগুলোর কাজ আদায় করা হবে। অন্য সড়কগুলোও দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশারফ মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।