আশরাফ ইকবাল : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান ও শ্রীনগর) সংসদীয় আসনের জামায়াত ইসলামীর এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দলটির জেলা শাখার সেক্রেটারী মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন রাজী।
তাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার পর থেকেই এলাকার সাধারণ মানুষের ভেতর এক ধরনের আনন্দ উল্লাস দেখা যায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আলেম সমাজ সকলেই উনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। জনসাধারণের সাথে কথা বললে তারা জানান, জামায়াতে ইসলামী একজন সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও সমাজসেবক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়াতে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। এবার মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে তারা কাকে দেখতে চায় জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন– ধানের শীষ, নৌকা অনেক দেখলাম এবার না হয় একবার দাড়িপাল্লা নিয়ে ভাবা যাক। তবে, আমরা আশাবাদি ইসলামী দলগুলো একবাক্সে একত্রিত হবে।
এদিকে, অধ্যাপক মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দীন রাজীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে তিনি উক্ত আসনের বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে ঈদ পূর্তি ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন, প্রতিটি ইউনিয়ন ভিত্তিক ইফতার মাহফিলের আয়োজন, ইদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর আয়োজন করেন। তাছাড়াও সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শহীদ পরিবারদের নিয়েও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন জামায়াত নেতা ফখরুদ্দিন রাজী।
সব কিছু ঠিক থাকলে এবার জাতীয় নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান ও শ্রীনগর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে জেলা শাখার সেক্রেটারী মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন রাজী চমক দেখাতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। কেননা অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় জামায়াত নেতার জনপ্রিয়তা মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে অনেকটাই এগিয়ে আছে।
এছাড়া সাধারণ জনগণ মনে করছেন, অন্য দলগুলো অনেকবার সুযোগ পেয়েছেন- তবে দেশের স্বার্থে আর নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে একবার জামায়াত ইসলামিকে সুযোগ দেওয়া উচিত। সেই ভাবনা থেকে এবার অনেকেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এবং এ কে এম ফখরুদ্দীন রাজী সাহেবের হাত ধরে এবার সিরাজদিখান-শ্রীনগরে ত্রিশ বছর পর দাঁড়িপাল্লা মার্কার গণজোয়ার তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
