সিনিয়র সচিব ও মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, সমতা ও সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ রক্ত দিয়েছে। তাই আগামীর বাংলাদেশ হবে সমতার বাংলাদেশ, ঐক্যের বাংলাদেশ। জুলাই অভ্যুত্থানে পলাতক শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে ওঠেছে তা বজায় রেখে আমরা আগামীর একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
তিনি গতকাল সোমবার রাতে সিলেট নগরের শহীদ সুলেমান হলে ‘আলাপন সন্ধ্যা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। সামাজিক সংগঠন সাইক্লোনের সাবেক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে এই আলাপন আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিক আরও বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে সুশীল সমাজ বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় তারা তাদের মগজ বন্ধক দিয়েছিলেন। আবার অনেকে কথা বলতে না পারলে চুপ থেকেছেন। অনেকে জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশে বসে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার চেষ্টা করেছেন। দেশের ভেতরে থেকে সরকারের চোখে আঙ্গুল দিয়ে কথা বলতে যে হিম্মতের দরকার ছিল তা তাদের মধ্যে ছিল।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, আমরা বাংলাদেশের সেই পেছনে ফিরে যেতে চাই না। এখন সামনে অগ্রসর হতে চাই। আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যুব সমাজ এখন অনেক সচেতন। রাজনৈতিক কালচার তৈরি হয়েছে সবাই আধিপত্য বিস্তার করতে চাই। আমি সালাম নিতে অভ্যস্থ, সালাম দিতে অভ্যস্থ্য নই। এখন পরিবর্তন এসেছে, যিনি সালাম নিবেন তাকেও সালাম দিতে হবে।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে ও মেধার মূল্যায়নে গুরুত্বরূপ করেন তিনি বলেন, এই জন্য ছাত্ররা জীবন দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। তাই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। একইভাবে মামলার নামে কেউ যেন বাণিজ্য করতে না পারে। কাউকে হেয় করার উদ্দেশে মামলা করে হয়রানি না করে। এমনটা কেউ করে থাকলে আমাকে জানাবেন তাকে পাবলিকলি এক্সপোজ করে দেব।
সিলেটের উন্নয়নে নিজের আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সেবা করতে মন্ত্রী-এমপি হতে হয় না। ক্ষমতার বাইরে থেকেও দেশের জন্য কাজ করা যায়, প্রভাব তৈরি করা যায়। সিলেটের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে আমি দ্বিধাবোধ করব না।
মুশফিক বলেন, দেশের উন্নয়নে সিলেটের প্রবাসীদের অনেক অবদান আছে। সিলেটের মানুষ যে হারে রেমিট্যান্স পাঠায় এই টাকা সব ব্যবহার হয় না। এটার জন্য দায়িত্ব নেওয়ার দরকার না, ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করা যায়, কথা বলা যায়।
সাইক্লোন সভাপতি মোয়াজ আফসারের সভাপতিত্বে ও বাচিকশিল্পী সালেহ আহমদ খসরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ বেতার সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের (কেমুসাস) সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আমিনুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন, সাইক্লোনের সাধারণ সম্পাদক ইশরাক জাহান জেলি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জাজমান সেলিম,, সিলেট জজ কোর্টের এডিশনাল পিপি আব্দুল মুকিত অপি, রেড ক্রিসেন্টের কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, কেমুসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো চিফ আব্দুল কাদের তাপাদার, লেখক বেলাল আহমদ চৌধুরী, কবি মুহিত চৌধুরী, আলোর অন্বেষণের সভাপতি সাজন আহমদ সাজু, ছয়ফুল আলম পারুল, মাহফুজ জোহা, তাসলিমা খানম বীথি ও আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাইক্লোনের সদস্যরা। এছাড়াও সিলেট মেট্রোপলিটন জেলা স্কাউটের পক্ষে সম্পাদক মো. জিয়াউল ইসলাম, আব্দুল ওয়াহিদ স্মৃতি পাঠাগার, আমাদের ডাক পরিবারের পক্ষে কবি আলিম উদ্দিন আলম, জনপ্রতিনিধি ইলিয়াস মেম্বার, আয়েশা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়সল আহমদ, ব্যাংক কর্মকর্তা মতিউল বারী খুরশেদ, চব্বিশে গণঅভুত্থানে আহতদের সংগঠন রক্তাক্ত জুলাই-এর আহŸায়ক আলাল আহমদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী লিলি আহমদসহ অন্যরা ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। নিজেদের লেখা বই উপহার দেন সাহিত্য সমালোচক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, ব্যাংক কর্মকর্তা ও লেখক মুশতাক আহমদ। উপস্থিত ছিলেন, সাইক্লোন কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আখতার, বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এটিএম মোশাহিদ উদ্দিন, দয়ামীর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক নজমুল হোসেন, সাবেক টি-গাডেন ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, ইউসিবিএল-এর সিনিয়র এভিপি আবদুর রহমান আব্বাসী, সমাজসেবী ও সংগঠক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
তিনি গতকাল সোমবার রাতে সিলেট নগরের শহীদ সুলেমান হলে ‘আলাপন সন্ধ্যা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। সামাজিক সংগঠন সাইক্লোনের সাবেক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে এই আলাপন আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিক আরও বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে সুশীল সমাজ বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় তারা তাদের মগজ বন্ধক দিয়েছিলেন। আবার অনেকে কথা বলতে না পারলে চুপ থেকেছেন। অনেকে জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশে বসে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার চেষ্টা করেছেন। দেশের ভেতরে থেকে সরকারের চোখে আঙ্গুল দিয়ে কথা বলতে যে হিম্মতের দরকার ছিল তা তাদের মধ্যে ছিল।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, আমরা বাংলাদেশের সেই পেছনে ফিরে যেতে চাই না। এখন সামনে অগ্রসর হতে চাই। আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যুব সমাজ এখন অনেক সচেতন। রাজনৈতিক কালচার তৈরি হয়েছে সবাই আধিপত্য বিস্তার করতে চাই। আমি সালাম নিতে অভ্যস্থ, সালাম দিতে অভ্যস্থ্য নই। এখন পরিবর্তন এসেছে, যিনি সালাম নিবেন তাকেও সালাম দিতে হবে।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে ও মেধার মূল্যায়নে গুরুত্বরূপ করেন তিনি বলেন, এই জন্য ছাত্ররা জীবন দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। তাই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। একইভাবে মামলার নামে কেউ যেন বাণিজ্য করতে না পারে। কাউকে হেয় করার উদ্দেশে মামলা করে হয়রানি না করে। এমনটা কেউ করে থাকলে আমাকে জানাবেন তাকে পাবলিকলি এক্সপোজ করে দেব।
সিলেটের উন্নয়নে নিজের আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সেবা করতে মন্ত্রী-এমপি হতে হয় না। ক্ষমতার বাইরে থেকেও দেশের জন্য কাজ করা যায়, প্রভাব তৈরি করা যায়। সিলেটের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে আমি দ্বিধাবোধ করব না।
মুশফিক বলেন, দেশের উন্নয়নে সিলেটের প্রবাসীদের অনেক অবদান আছে। সিলেটের মানুষ যে হারে রেমিট্যান্স পাঠায় এই টাকা সব ব্যবহার হয় না। এটার জন্য দায়িত্ব নেওয়ার দরকার না, ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করা যায়, কথা বলা যায়।
সাইক্লোন সভাপতি মোয়াজ আফসারের সভাপতিত্বে ও বাচিকশিল্পী সালেহ আহমদ খসরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ বেতার সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের (কেমুসাস) সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আমিনুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন, সাইক্লোনের সাধারণ সম্পাদক ইশরাক জাহান জেলি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জাজমান সেলিম,, সিলেট জজ কোর্টের এডিশনাল পিপি আব্দুল মুকিত অপি, রেড ক্রিসেন্টের কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, কেমুসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো চিফ আব্দুল কাদের তাপাদার, লেখক বেলাল আহমদ চৌধুরী, কবি মুহিত চৌধুরী, আলোর অন্বেষণের সভাপতি সাজন আহমদ সাজু, ছয়ফুল আলম পারুল, মাহফুজ জোহা, তাসলিমা খানম বীথি ও আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাইক্লোনের সদস্যরা। এছাড়াও সিলেট মেট্রোপলিটন জেলা স্কাউটের পক্ষে সম্পাদক মো. জিয়াউল ইসলাম, আব্দুল ওয়াহিদ স্মৃতি পাঠাগার, আমাদের ডাক পরিবারের পক্ষে কবি আলিম উদ্দিন আলম, জনপ্রতিনিধি ইলিয়াস মেম্বার, আয়েশা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়সল আহমদ, ব্যাংক কর্মকর্তা মতিউল বারী খুরশেদ, চব্বিশে গণঅভুত্থানে আহতদের সংগঠন রক্তাক্ত জুলাই-এর আহŸায়ক আলাল আহমদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী লিলি আহমদসহ অন্যরা ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। নিজেদের লেখা বই উপহার দেন সাহিত্য সমালোচক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, ব্যাংক কর্মকর্তা ও লেখক মুশতাক আহমদ। উপস্থিত ছিলেন, সাইক্লোন কোষাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আখতার, বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এটিএম মোশাহিদ উদ্দিন, দয়ামীর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক নজমুল হোসেন, সাবেক টি-গাডেন ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, ইউসিবিএল-এর সিনিয়র এভিপি আবদুর রহমান আব্বাসী, সমাজসেবী ও সংগঠক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
কমেন্ট