‘সেঞ্চুরির’ দিনে কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছাড়লেন নেইমার

স্পোর্টস ডেস্ক: নেইমার জুনিয়র ও ইনজুরি— এই শব্দ দুটি রেললাইনের মতোই সমান্তরাল। যেন একসঙ্গে চলতে ভালোবাসে। হুটহাট চোট পেয়ে মাঠ থেকে কয়েক মাসের জন্য উধাও হয়ে যাওয়া এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের জন্য নতুন কিছু নয়। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি।

ক্লাব ক্যারিয়ারেও কতশত ম্যাচ যে মিস করেছেন, তার ইয়ত্তা নেই। এবার ভালো একটা উপলক্ষ্যের দিনেও নেইমারকে ছাড়লো না ইনজুরির ভয়াল থাবা। সান্তোসের ঘরের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকা। এমন মাইলফলক অর্জনের একটি দিনেও চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তার। আবারও ইনজুরিতে ‘প্রিন্স’।

সান্তোসের হোমে নিজের শততম ম্যাচটা ঠিকই জিতেছেন, তবে মাঠ ছাড়তে হয়েছে প্রথমার্ধের আগেই। মাত্র ৫ দিন আগে ফিরেছেন প্রায় দেড় মাসের চোট কাটিয়ে। ফিরে এক ম্যাচ বাদেই আবার বাইরে তিনি। এবার কতদিনের জন্য থাকতে হবে বাইরে, তা এখনও জানা যায়নি।

ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই নেইমারকে মাঠ ছাড়তে হয়। অ্যাথলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে ২-০ গোলে সান্তোসের জেতা ম্যাচে আনন্দিত দর্শকের আক্ষেপ এখন নেইমারের কান্না। মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়া নেইমার কার্টে করে বেঞ্চ পর্যন্ত যাওয়ার পুরো সময়টা ভাসিয়েছেন চোখের জলে।

৩৩ বছর বয়সী এই তারকা হয়তো নিজেও ক্লান্ত। সতীর্থদের দেয়া স্বান্তনাও থামাতে পারেনি তার চোখের জল। বাম পায়ের ঊরুর মাংসপেশির চোট যে এখন নেইমারের নিত্যসঙ্গী, ভয়েরও কারণ।

অবশ্য খারপ এ সময়ে নেইমারের পাশেই রয়েছে সান্তোস। ক্লাবটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) লেখা হয়, ‘প্রিন্স! পুরো সান্তোস তোমার সঙ্গেই আছে।’

উল্লেখ্য, মাঠে ছন্দে ফেরা তো বহু দূরের কথা, নেইমার শেষ কবে একটি মৌসুম ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছেন সেটা খুঁজে বের করাই এখন গবেষণার বিষয়। এক সিজনে অন্তত ৩৫ ম্যাচ খেলেছেন, এমন কিছু খুঁজে বের করতে হলে ফিরতে হবে অন্তত ৮ বছর আগে, সেই ২০১৬-১৭ মৌসুমের কথা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *