গাজায় বিদেশি কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্যাপক ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই গাজা থেকে ৩০ শতাংশ বিদেশি কর্মী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আলজাজিরার।

ডুজারিক জানান, গাজায় কর্মরত জাতিসংঘের ১শ’র বেশি কর্মীর মধ্যে প্রায় ৩০ জন চলতি সপ্তাহে গাজা ত্যাগ করবেন। এর ফলে যে এলাকাটিতে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে তাও স্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, এ প্রত্যাহার এমন এক সময়ে করা হচ্ছে যখন গাজায় মানবিক চাহিদা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে হামলায় জাতিসংঘের কর্মীসহ শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর জাতিসংঘ এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে একে অস্থায়ী ব্যবস্থা বলেও উল্লেখ করেন স্টিফান ডুজারিক।

জাতিসংঘের মুখপাত্র আরও নিশ্চিত করেছেন, ১৯ মার্চ গাজার মধ্যাঞ্চলে দেইর এল-বালাহে জাতিসংঘের একটি প্রাঙ্গণে হামলার জন্য একটি ইসরায়েলি ট্যাংক দায়ী ছিল। যেখানে এক বুলগেরিয়ান জাতিসংঘ কর্মী নিহত হন এবং আরও ছয় বিদেশি কর্মী গুরুতর আহত হন।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে করা এক রিপোর্টে আলজাজিরার গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো বলেন, গাজায় এখনও জাতিসংঘের ১৩ হাজার কর্মী আছেন, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি নাগরিক। তারা মূলত ডাক্তার, নার্স, ড্রাইভার ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।

এর আগে, সোমবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণে রাফায় রেড ক্রসের একটি ভবনে গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) জানিয়েছে, রাফায় তাদের অফিস একটি বিস্ফোরক প্রজেক্টাইল দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে এতে কোনো কর্মী হতাহত হয়নি।

অপরদিকে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *