সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে শিকারির বিষ’টোপে ৫০০ হাঁসের মৃত্যু-তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরে শিকারির বিষটোপ খেয়ে খামারের অন্তত ৫০০টি হাঁস মারা গেছে।  আর এছাড়া অসুস্থ হয়েছে আরও ১০০টি হাঁস। অতিথি পাখির পর এবার বিষটোপে খামারের হাঁস মারা যাওয়ার ঘটনায় জড়িত শিকারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন খামারি ও গ্রোম বাসিরা।

 

গত সোমবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে টাঙ্গুয়ার হাওরে পাখিদের সংরক্ষিত জলাশয় রৌয়া বিলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কাশেম।

জানা যায়,ক্ষতিগ্রস্ত খামারির নাম সুজন মিয়া। তিনি উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মন্দিআতা গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। খামারির এই সর্বনাশের খবর পেয়ে মন্দিআতা গ্রামে জড়ো হন এলাকাবাসী। এ সময় অতিথি পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। মারা যাওয়া হাঁসকে ঘিরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তারা। ক্ষতিগ্রস্ত খামারি সুজন মিয়া বলেন, দুপুরে জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া খামারের হাঁস দেখতে যান তিনি। এ সময় পাখি শিকার করে বস্তা ভরে কয়েকজনকে নিয়ে যেতে দেখেন তিনি। তাকে দেখে শিকারিরা দ্রুত বস্তা নিয়ে সটকে পড়েন। পরে তিনি একটু এগিয়ে গিয়ে দেখেন জলাশয়ের ধারে তার খামারের হাঁস ছটপটাচ্ছে। দ্রুত বাড়িতে খবর দিয়ে স্বজনদের ডেকে নিয়ে হাঁসগুলো উদ্ধার করে তীরে তুলি। চোখের সামনে প্রায় ৫০০টি হাঁস মারা যায়। আরও শতাধিক হাঁস বিষক্রিয়ায় ছটপটাচ্ছে।

 

হাঁসের খামারের মালিক বলেন- আমি মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে হাঁসের এ খামারটি করেছি,এখন আমার সব শেষ হয়ে গেছে। হাঁস মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওই এলাকার বাসিন্দা মাইনুদ্দিন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাখি শিকারিরা বিষটোপ দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করছে। তারা আরও অনেক ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করেন। আজ বিষটোপে সুজন খামারির ৫০০ হাঁস মারা গেছে। তার অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই শিকারিদের প্রতিরোধ না করলে, এই হাওর একদিন পাখিশূন্য হয়ে পড়বে।

 

তবে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনজনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সুজন মিয়া। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *