এই শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি, চড়া চাল-মাছ-মুরগির বাজার

অর্থনীতি ডেস্ক:  শীত মৌসুম জুড়েই পোল্ট্রি বাজারে বেশ উত্তাপ। দোকানিদের দাবি, খামার থেকেই সরবরাহ কমেছে। এদিকে শীতকালীন অনেক সবজির কেজি প্রতি দাম চল্লিশ টাকার নিচে চলে এসেছে। তবে পটল, করলা, বরবটির দাম এখনও শতকের ঘরে। অপদিকে, ছুটির দিনে চোখ রাঙাচ্ছে মাছের দাম।

আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫/১০ টাকা কমলেও, অন্যান্য মুরগির জন্য চড়া দাম দিতে হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার ২১০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগির জন্য দিতে হবে ৩৫০ টাকা। ছয়শো টাকা কেজির নীচে পাওয়া যাচ্ছে না দেশি মুরগি।

সিম, কপি, টমেটো, বেগুন সহ কয়েক ধরণের শীতকালীন সবজি কেনায় মিলছে স্বস্তি। বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। তবে, করলা, বরবটি, চিচিঙ্গাসহ বেশকিছু সবজির দাম একশো টাকার বেশি। এক কেজি পটলের জন্য দিতে হবে দেড়শো টাকা।

বড় বাজারে ফার্মের প্রতি ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। পাড়া মহল্লার দোকানে তা মিলছে ১৪০-১৪৫ টাকা।

মুদি বাজারেও দামের তেমন হেরফের দেখা যাচ্ছে না। প্রতিকেজি আমদানি করা মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ ও দেশি চিকন মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ থেকে টাকা, মুগডাল ১৬৫ থেকে ১৭০ ও ছোলার কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কয়েক মাস ধরেই চালের বাজার চড়া। মানভেদে বিভিন্ন ধরনের চালের কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চাল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় নাজিরশাইল জাতের চালের খুচরামূল্য মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। মাঝারি বা ব্রি-২৮ ও পায়জাম জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৬ টাকায়। মোটাদাগে বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো চালই।

ছুটির দিনে চোখ রাঙাচ্ছে মাছের দাম। অথচ, শীত মৌসুমে পরিস্থিতি উল্টো হওয়ার কথা। ব্যবসায়ীদের যুক্তি, নদীতে আগের মত মাছ মিলছে না। তাই চাষের জাতের চাহিদা বেড়েছে। ইলিশের দাম শুনে ভিড়মি খাচ্ছেন ক্রেতারা। দেড় কেজি ওজন, কয়েক ঘণ্টা আগে ধরা হয়েছে, এমন মাছের কেজি ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

৭৫০ টাকা কেজিতে অপরিবর্তিত আছে গরুর মাংসের বাজার। কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে খাসীর মাংস মিলছে ১১শ’ টাকায়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *