আমার পতাকা আমার সম্মান। আমার পতাকা, আমার জাতিসত্তার পরিচয়। তেমনি ভারতের পতাকা ভারতবাসীদের সম্মান। ভারতীয়দের পতাকা, ভারতীয়দের জাতিসত্তার পরিচয়। আমি যেভাবে আমার পতাকাকে সম্মান করি। ভারতবাসীও তাদের পতাকাকে সম্মান করে। এটাই নিয়ম এটাই হওয়া উচিত।
ঠিক পৃথিবীর মানচিত্রে যতটা রাষ্ট্র আছে, ভূখণ্ড আছে। তাদের সবার পতাকাকে, সবার জাতিসত্তাকে আমি সম্মান করি।
তেমনি আমার পার্শ্ববর্তী বৃহৎ রাষ্ট্র, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। বাঙালি জাতির এবং বাংলাদেশের এই পতাকার জন্ম ইতিহাসে। ভারতবাসীর ভারতীয় বন্ধুদের একাত্তরের যে অবদান। তা কখনো ভুলার নয়, আমরা সম্মানের সহিত তা স্মরণ করি। আমার কাছে কখনো মনে হয়নি, ভারতে আমাদের শত্রু, ভারত আমাদের শত্রু রাষ্ট্র। আমার কাছে কখনো মনে হয়নি ভারত আমাদের ক্ষতি চায়। প্রত্যেকটা রাষ্ট্র তার পররাষ্ট্র নীতি থাকে, হয়তো ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে, তারা আমাদেরকে তাদের বন্ধু ভাবে। আমার ধারনা তাই। আমার ধারনা ভুল হতে পারে। সেটা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির বিষয়।
আমরা ভারতের নাগরিকদের আমাদের বন্ধু মনে করি। তাদের সাথে আমাদের বাণিজ্যিক লেনদেন ছাড়াও, ভাষা সাহিত্যে, রীতি নীতির মিল রয়েছে। তাদের সাথে আমাদের হৃদয়ের বন্ধন রয়েছে। ভারতের অনেক সাহিত্য সংস্কৃতির বা উৎসবে তারা আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানায়। এবং আমাদেরকে সমাদর করে, আতিথিয়তা দেয়। আমরাও চেষ্টা করি, আমাদের বিভিন্ন সাহিত্য সংস্কৃতির অনুষ্ঠানে। ভারতের কবি সাহিত্যিক লেখিয়ে বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর। কাঁটাতারের বেড়াকে উপেক্ষা করে, হৃদয়ের টানে আমরা ছুটে যাই। তাদের সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে। সেটা ভারতের হোক বা বাংলাদেশের হোক।
সেখানে কাদের প্ররোচনায়। কাদের ইন্দনে ভারতীয় পতাকার, অবমাননা করার দুঃসাহস দেখায়। সেটা খুঁজে বের করতে হবে। কারণ ভারতের পতাকার দাবিদার ১৩০ কোটি মানুষ। তেমনি বাংলাদেশের পতাকার দাবিদার ২০ কোটি মানুষ। আমি মনে করি যদি ১৩০ কোটি মানুষের পতাকাকে অপমান করব, অসম্মান করব। তাহলে ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ আমার পতাকা, ২০ কোটি মানুষের পতাকাকে অবমাননা করবে, অসম্মান করবে। এই অপসংস্কৃতি কারা চালু করতে চায়। এই ভাতৃত্ববোধ কারা রুখে দিতে চায়। এ সম্মানের জায়গায় কারা আঘাত করতে চায়। সেটা আমাদের দেশের নাগরিকদের ভেবে দেখতে হবে। ভারতীয় নাগরিকদের ভেবে দেখতে হবে। কারণ এটা আমাদের উভয় দেশের সংস্কৃতি নয়। কিছু বাংলাদেশ বিদ্বেষী কিছু বাংলাদেশ বিরোধী, কুলাঙ্গাদের কারণে। বাংলাদেশের পতাকা, বাংলাদেশের মানুষের অবমাননা কাম্য নয়। তেমনি আমি ভারতবাসীকে, ভারতীয় বন্ধুদেরকে বলতে চাই। আমাদের ২০ কোটি মানুষ আমাদের পতাকাকে যেভাবে সম্মান করি। ঠিক অন্য দেশের এবং পার্শ্ববর্তী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের পতাকাকে সম্মান করি। তাই কিছু কুলাঙ্গার, দুষ্কৃতিকারীর কারণে, আমরা যেন কারো পতাকাকে কারো সত্তাকে অবমাননা অসম্মাননা না করি। পরিশেষে বলতে চাই ,এই পৃথিবী হোক মানুষের। এই পৃথিবী হোক ভালোবাসার। এই পৃথিবী হোক সাহিত্য সংস্কৃতির। এই পৃথিবীই হোক কাঁটাতারের বেড়া মুক্ত। পাখির মত সীমানাহীন পথচলার মানুষের পরিচয়।
লেখক:
কবি মোহাম্মদ বাদশা গাজী
সম্পাদক প্রকাশক,
দৈনিক সুদিন।
অনলাইন দৈনিক সিলেট নিউজ টাইমস্ ডট কম।