জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী বাজেট প্রত্যাখ্যান করে সিলেটে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মিছিল সমাবেশ

৬জুন সংসদে উত্থাপিত হয় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট। সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর তাৎক্ষণিক সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত প্রেস রিলিজের মধ্য দিয়ে তা প্রত্যাখান করে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)। আজ ৭জুন সিলেটে ঘোষিত গতানুগতিক ঋণনির্ভর বাজেটকে গণবিরোধী বলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা। বিকেল ৫টায় সুরমা পয়েন্টে হতে মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল ফজলের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, জেলা কমিটির সদস্য বদরুল আজাদ, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ (শান্ত), সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মুহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি সিলেট সদর উপজেলা কমিটির অন্যতম নেতা আলী আহমদসহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সরকার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নীতি নির্দেশে জাতীয় ও জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে গতানুগতিক ধারায় সংসদে উত্থাপন করে ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের বাজেট। বিশ^ব্যাংক ও আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ি সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে বরাবরই জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী বাজেট পেশ করে। বাজেট প্রণয়নে এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। বর্তমান বাংলাদেশের যে চ্যলেঞ্জিং সমস্যা বেকার সমস্যা দূরীকরণ ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির লাগাম টানা কিন্তু বাজেটে এর কোনো দিকনির্দেশনা নেই। আমাদের দেশের বাজেট প্রণয়ন হয়ে থাকে লুটপাটের স্বার্থে। সরকার দলীয় এমপি-মন্ত্রী, নেতা-কর্মি, আমলাদের লুটপাটের পথ সুগম করে চলছে। যার ফলে জনগণের জাতীয় ও জরুরী সমস্যাগুলোর স্থান পায়না বাজেটে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য কৃষি ভিত্তিক শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারেও কোন সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেই। কৃষি খাতে যে অবৈধ মজুতদারি, বিপননে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি তা মোকাবেলা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বাজেটের আকার বৃদ্ধির সঙ্গে এবং বাজেটের ভর্তুকি কমাতে মধ্যবিত্ত, নি¤œ-মধ্যবিত্ত দরিদ্র জণগনের উপর ভ্যাট-ট্যাক্সসহ বিভিন্ন ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আদায়ের চাপ বাড়বে। শিক্ষা উপকরণ, গৃহস্থলির সামগ্রী, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সহ জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হবে, যা ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়ে সামাজিক অস্থিরতাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।

বক্তারা উল্লেখ্য করে বলেন এ বাজেট হচ্ছে আইএমএফ ও বিশ^ব্যাংকের শর্ত পূরণের বাজেট। বাজেটে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার ওপর যাবে কেবল ঋণের সুদ পরিশোধেই। উন্নয়ন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থ রক্ষাকারী গণবিরোধী বাজেট। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট প্রস্তাবিত বাজেটকে গনবিরোধী বলে প্রত্যাখান করেন এবং ছাত্র-কৃষক, শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে গণমুখী বাজেট কার্যকর করার দাবি জানান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *