সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শোকসভা, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর দ্বৈত নীতির কারনে অতিরিক্ত কাজের চাপে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে নিহত সকল শহীদ লাইনক্রু, মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার সহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রমে অন্যান্য সকল পদের নিহত শহীদদের স্মরণে শোকসভা, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে গোটাটিকরস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন।
লাইনম্যান গ্রেড-১ এর মো. মামুন মিয়ার পরিচালনায় শোক সভায় বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, প্রকৌশলী জয়নাল আহমদ শরিফ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শান্ত দাশ, সিনিয়র লাইন টেকনিশিয়ান জহিরুল হক, মনিরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, গোপাল চন্দ্র, অহিদুল হক, রেজাউল করিম, নাহিদ মিয়া, আব্দুল খালেক, মো. ইব্রাহীম, জাহিদ, প্রশান্ত, শাহ আলম, মাহমুদ, মজিদ মুল্লা প্রমুখ।
শোক সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ কাজে কর্মরত অবস্থায় লাইনক্রুগণের মৃত্যুকে কোনভাবে স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যায় না, এটা একটি হত্যাকান্ড। ফিল্ডের সাথে সম্পর্ক নাই এমন ধরনের কর্মীকে বিআরইবি কম লোকবল নিয়োগ দিয়ে সংকট তৈরি করার কারণেই এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটছে। যার দায়ভার কোন অবস্থাতেই বিআরইবি এর চেয়ারম্যান, এসওডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এড়াতে পারেন না। তাদের গাফিলতির কারণেই এ ধরনের মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটছেই। আমরা এর প্রতিকার চাই। বক্তারা ৪০ হাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রাণের দাবি, “অভিন্ন সার্ভিস কোড” বাস্তবায়ন করে ৮ ঘন্টা কমর্ ঘন্টা নির্ধারণের জোর দাবি জানান।
সভায় বক্তারা আগামী শনিবার থেকে একইভাবে নিরাপত্তা ও সঠিক কর্মঘন্টার জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, রোববার থেকে এই আন্দোলনকে আরো কঠোর থেকে কঠোরতর করে তোলা হবে।
৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে একযোগে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচীতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সকল পর্যায়ের কয়েক শত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। পরে গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *